দুই খন্ড কবিতাঃ রূপক চট্টোপাধ্যায়

দুই খন্ড কবিতা
রূপক চট্টোপাধ্যায়

১) জীবনের প্রস্থচ্ছেদ করলে,
ইতিহাসের দিদিমণির খয়েরী রঙ মুখ ভেসে ওঠে!
চারকোলে লেখা অচেনা গুহার দেওয়ালে
হায়ারোগ্লিফিক্সে চমকে ওঠে মৌনতায়!

দ্রবীভূত হয় মালবার উপকূলে
স্মৃতি ঘনিষ্ঠ মেঘ। ইচ্ছেরা আঙুল তুলে তর্ক করে
তরল মাতলামি থেকে তীব্র খিস্তি ওড়ায়,
ক্লান্ত হয়। অন্ধকারে নিঝুম ডানা গুটিয়ে
গ্লাস ভেঙে চলে যায় যে যার পাললিক আশ্রয়ে!

আমি চুপ করে বসে থাকি সাঁচি স্তূপ।
দেখি শরীর জুড়ে বেজে ওঠে বৌদ্ধ সঙ্গীত!

২) দেখি দক্ষিণ
মানচিত্রের সীমানায় জোৎস্না ধরেছে!
হাওয়া বইছে। জঙ্গল খোকলা করে যুবক গাছেদের
লাশ বোঝাই হচ্ছে পিকআপ ভ্যানে। পাখিরা
উদবাস্তু হলো। গ্যাস ওভেনে মাংস আর মদের তৃষ্ণা পর্যন্ত পার হতে হতে আরো ছায়া ময় হয়ে যাচ্ছে
মানুষের আদল। পূবে রাত্রি নারীর ব্লাউজের মতো
বিবর্ণা ভোর। পৃথিবী টুপ করে খসে পড়ল
কক্ষপথ থেকে খুচরো পয়সার বাটিতে!

One thought on “দুই খন্ড কবিতাঃ রূপক চট্টোপাধ্যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *