বর্ম
শুভ্রকান্তি মজুমদার
সময়ের সাথে প্রিয় পছন্দগুলো বদলে যায়।
একসময় প্রিয় ছিল দিলরঞ্জন ডালমুট,
এখন আমার পছন্দ বদলে গেছে,
এখন আমি মুড়ি-জিলিপি খাই।
আগে আমি শুধুই একজন পাঠক ছিলাম
আমার কাজ ছিল শুধুই পাঠ প্রতিক্রিয়া দেওয়া।
এখন নিজে অল্প স্বল্প লেখার চেষ্টা করি বলে,
অনেকেরই কৌতূহল,সাথে অস্বস্তি, ভেদবমি!
এখন পরগনার প্রায় ক অক্ষর গোমাংস স্বয়ম্ভু
মাতব্বরের কাছে হাত কচলে কচলে,দেঁতো হাসি
হেসে জানান দিতে হয়,দাদা আমি অল্প স্বল্প লিখছি! আমাকে একটু অনুগ্রহ করবেন!
এটাই নাকি নিয়ম!
এখন শহরের নানা রকম,মোটা,লম্বা,বেঁটে- বাটকুল,টাকলা,দাড়িওয়ালা নানা সাইজের পূজনীয়দের কাছে অনুমতি নিয়ে তবেই নাকি লিখতে হয় কবিতা! উচ্চারণ করতে হয় গদ্য!
এটাই নাকি নিয়ম!
এসব তেতো কথা আমি সহজেই বলতে পারি,
কারণ এতটা বড় আমি নই যে শহরের টাউন হলে সর্বদলীয় মানুষ একত্রিত হয়ে স্মৃতিচারণ করবে আমার মৃত্যুর পর।
আগে যে ঝোপকে কুন্দফুলের ঝোপ ভাবতাম
পরবর্তীতে বুঝলাম,আসলে তা আগাছার
জঙ্গল,কাঁটাগুল্মে ভরা। পাতে দেয়া যায় না।
এখন আর ওই জঙ্গলে যেতে ভয় নেই।
সারা শরীরে হাইকমান্ডের দেওয়া বর্ম জড়িয়ে নিয়েছি।
বাহ্ বেশ সুন্দর l শুভেচ্ছা l