গুচ্ছ কবিতাঃ মলয় চৌধুরী
১.
নিজের জোয়ারে ভেসে।।
প্রতিদিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছ ,
তবু আশ্চর্য সে বর্ষণ
ভরিয়ে দিচ্ছে নাবাল জীবন।
উপত্যকার ঢাল দিয়ে গড়ায়
আকাঙ্ক্ষার বারমাস্যা জল ।
উদয়াস্ত নিজের জোয়ারে ভেসে
সচল হৃদপিন্ডের ধ্বনি শোনে
সিক্ত সে পাগল ।।
২.
উড়িধান।।
কেউ অবহেলা ছড়িয়ে গেছে –
অনাবাদী খেয়ালের বীজ ,
অযত্নে জন্মায় তার তুচ্ছ শস্যভার ।
পাখীর কাছে থাকে
বেওয়ারিশ জীবনের খবর ।
ঠোঁটের ছোঁয়ার সম্মান ভালবাসা
ডানায় জড়িয়ে
পুনর্জীবনের উড়ান বারবার।।
৩.
নিজের ছবি।।
ফেলে রেখে আসতেই পারো তাকে
নদীর ধারে ,কোনো পথের পাশে
অথবা নির্জন বিহারে ।
তারপর পিছন ফিরো না ,
ভবিষ্যতের সব আলোচনা
যে যার মত করে নেবে ।
হঠাৎ কোন পথ চলতি মুখে কোনদিন
নিজের ছবি হয়তো দেখতে পাবে।।
৪.
হৃদয়পুরের ঘুম।।
এসো কাটাকুটি খেলি ,
আমি যা বলবো তুমি কেটে দেবে
তোমার কথা আমি ।
ফুরিয়ে যাবার জীবন কথা
সবই তো পাগলামি ।
রোদ – বৃষ্টির উপাখ্যানে বদলানো মরসুম
দিন গোণা এই পৃথিবীর পথে
হৃদয়পুরের ঘুম।।
৫.
শব্দের বিয়োজন।।
এত যত্নে শব্দ সাজালাম
তুমি ভেঙে দিলে ,
উচ্চারণ করলে না।
ঝরা শব্দে ভাললাগার টান ।
চেনা ভাষার বিয়োজন ঘটে গেলে
পা টলে অচেনা অক্ষরে ,
এক পাগল তবু অবিরত
পুরনো দরজায় কড়া নাড়ে ।।