জলের ভেতর দেখা যায়
নাসরীন নঈম
কার যেন মুখ দেখা যায় জলের ভেতর খুবই সব্চছ জল
মহেনজোদারোর মাটির কলস ভেঙে একদিন
লোকটা গড়েছিলো বিশাল এক বাগান
অনেকগুলি ঝরা পাতার ওপর লিখেছিল কিসব
হাবিজাবি –কৈশোর, যৌবন ,আর কী একটা নাম
বোধ হয় প্রেম।
তারপর আকাশে সাদা ঘুড়িকে তাক করে ছুঁড়ে ছিল
কষ্টের আকুতি সব।
লোকটা বড় দুঃখি ।
ধপাস ধপাস করে নেমে এসেছিল তার নিয়তি
চড়ুই ভাতির শেষে পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট ,মাটির টোপাটাপি কলিজার টুকরা কাকে দেখাবে লোকটা
ভেবে পায় না আর।
সামাজিক গেরস্থালি ওকে কোনো দিন ছুঁতে পারলোনা।
সে জীবনের বারো রকমের মানুষ কে ভাগ দিতে চেয়েছিল ভালো বাসা।
তবু কেমন হতাশা জীওল মাছের মতো ঘাই দিয়ে যায়
বুকে।
তুমি কষ্ট পেওনা মানুষ তোমার হারানো সব ইচছে গুলো এখন পাখির পালকের ওপর দুলছে
সদ্য জাত শিশুর চোখের আলোতে তুমি আয়না
হয়ে গেছো
সবাই তোমাকে দেখার জন্যে অগ্রিম টিকিট কাটছে
তুমি জল কিম্বা আরশি।