আত্মহননের কবিতা
তুলি রহমান
প্রতিটি নদী প্রতিটি ঢেউ
প্রতিটি ভোর প্রতিটি সন্ধ্যা
হাওয়ায় হাওয়ায় ওঠে গুঞ্জন।
প্রতিটি তারা পরস্পর থেকে
দূরে সরে যাচ্ছে প্রতিদিন
চাঁদ ক্রমে হচ্ছে যুবতী প্রতিদিন।
শুধু আমি আর একটা আত্মহননের কবিতা
কি করে যেন জেগে থাকি
চারপাশে হুলুস্থুল মোহনিদ্রা
মিশে যায় অন্ধকারে।
আমি চিৎকার করি
আমার চিৎকারে জেগে ওঠে মৃত হরিণ
ঘোষণা করে কবির নাম
আমি নিজেকে প্রস্তুত করি
যদিও আমি এখন পর্যন্ত
আত্মহননের একটিও কবিতা লিখিনি
লিখতে চাই না, অথচ আমি দেখি
অন্ধকারে আমার উঠোনে
ঠাসাঠাসা আঙ্গুরের থোকায় ঝুলে আছে
অসংখ্য মৃত হরিণের চোখ।
আর বেহেস্তের বাগান থেকে শিষ দেয়
টসটসে রসে ভরা ডালিম দানা।