জীবনের আলাপনে
জ্যোতি শামিনা শাহীন
হঠাৎ পড়বে মনে, জীবনের আলাপনে
ক্ষীণ হয়ে যাবে দু’পাশে দাঁড়ানো স্মৃতির ছায়া,
সূর্য পাটে বসে গোধূলি কে ঢেকে দেবে চাঁদ।
অনুভবের প্রত্যাবর্তনে বিচলিত সময়।
কোন এক ক্লান্ত বিকেলে
পূব আকাশের মেঘ হয়ে উড়ে এসে
তোমায় কফি পানের আমন্ত্রণ জানাবে।
বকুল গাছের শীতল ছায়ায় বসে
নরম হাত দুটি তোমার কপালের উদ্ভ্রান্ত চুল গুছিয়ে দেবে সিঁথিতে।
বড্ড অভিমান হবে ব্যাকুল হৃদয়ে সংগোপনে ভালবাসা প্রত্যাশায়।
যেমন ব্যাকুলতা ছিল টগবগে তারুণ্যে!
বন্ধু হয়ে কাছে পেতে, খুব বেশি খুঁজেছো যারে তৃষিত নয়নে-
বিগলিত প্রেমের সুমধুর সম্ভাষণে,
নতুন কোন নামে ও ডাকনি তারে।
শিরোনাম হীন চিঠি গুলো ভীরু পায়ে,
হেঁটে হেঁটে পৌঁছে গেছে তাঁরই কাছে।
ডাকবাক্স সে কথা গোপন রেখেছে যুগ যুগ ধরে।
সেই কবে-
কানের দুল জোড়া ‘মাছরাঙা ‘পালক দিয়ে বানানো-
সমুদ্র সৈকতে বালিয়ারির ঢিবিতে বসে, একা,
সূর্যকে সাক্ষী রেখে কিনেছিলে।
প্রথম গৃহ পদার্পণে পড়িয়ে দেবে আপন হাতে।
পড়বে মনে,খোঁপার কাঁটা কিনে লুকিয়ে রেখেছিলে আলমারির গোপন কুঠুরিতে।
সমুদ্র তোমায় আশির্বাদ করে বলেছিল,
নীলবেদনা,নীলাভ সবুজ জলের ঢেউয়ে বিলিয়ে দিও।
সাধারণ মেয়েটি সমুদ্রের আশির্বাদ নিয়ে,
তোমায় পূর্ণিমা রাতে আঁধার ভেদ করে,
পাহাড়ের চূড়ায় এনে প্রণয় মুকুট পড়িয়েছে।
সমুদ্র জলে পা ভেজানো ‘ফটোগ্রাফ’ দেখে প্রণয়াসক্ত সাধারণ মেয়েটি।
যে তোমার শার্টের বোতাম সেলাই করে দেবে বলে কথা দিয়েছিল।
সে কি কথা রেখেছে?
বলেছিলে, যদি ধরলা নদীর মতো আমারও একটি নদী থাকতো!
অনন্তকাল স্রোত হয়ে ভেসে যেতাম।
যেমন করে ঝর্না বাঁচে নদী হয়ে সমুদ্রে।
সাধারণ মেয়েটি-যে নদী হয়ে আছে
তোমার চারপাশে।
হঠাৎ পড়বে মনে, জীবনের আলাপনে।