শরতের গল্প অন্য শরতে
রোকেয়া ইসলাম
অন্যমনস্ক বিস্মৃত প্রায় শরতের পুনরাবৃত্তি হয়
ধুলো ঝেড়ে যত্ন করে ফিরে আসে অচেনা কিশোরী
যখন নিরালা একা ও আমি শিউলি ঝরা ভোরে
ভেবে নেই -বয়স এক সংখ্যা মাত্র
ভেতরের সব প্রেম জড় করি সারাটা দুপুর জুড়ে…
হাঁটাছি সব চেনা পথ হারিয়ে একাকি
ঐ দূরে সমুদ্রের মতো কাশবন
শ্বেত সখ্য ফুলের সাথে বাতাসের মাখামাখি
যেন কত বছরের ভালবাসাবাসির ঘর সংসার ; যাপন….
হাঁটছি. নিরেট প্রেমটুকু সম্বল
সবুজ বিকেল ছুঁয়ে ফেলে ধুসর সন্ধ্যা
সমুদ্রের বুকে আলবাট্রসের ছায়া নেই
দূরের কাশবন কাছ এলে বড্ড ফাঁকা
ম্লান হয়ে চেনা পোট্রের্ট ম্লান এই লোটাকম্বল
উত্তরা পেরিয়ে মিরপুর ছাড়িয়ে দিয়াবাড়ির আমন্ত্রণে
পুরোটা শরত জুড়ে দুঃসহ প্রতীক্ষায় ছিলাম
— আসোনি
তোমার না আসা শরত মুখ লুকিয়েছে অন্য শরতে
বুঝতেই পারিনি ভালবাসনি
নন্দনালোকে সে এক অসমাপ্ত অপেক্ষা
তোমার আসার কথা ছিল বিকেলে আকাশের এক মুঠো নীল শার্টে
আমার খোঁপায় সাদা মেঘ রঙা রোদ্দুরের ফুল
আমাদের সে টার্ম পুরোটাই অপ্রাসঙ্গিক
ভুলে যাওয়া ডাক নীলা
সে পথ হারিয়ে বহুদূর, সিলগালা
অতঃপর
খুলে দেয়া ঈশ্বরের দ্বার ছুঁয়ে নেমে আসে অরফিয়াস।
না আমার স্বপ্ন দেখা মিথ্যে আমার ভাঙা ঘর।
অরফিয়াস সব সত্য অঙ্গিকারের বাহনে তুলে নেয় প্রেম হারানো আমাকে।