শিল্পের অভিধান
অমর চক্রবর্তী
কোনো অতীতই হারিয়ে যায় না
ভালোবাসা ঘৃণা অহংকার সবাই জানে
‘ভোর হৈলো নিশি তবেত রূপসী
ছাড়িয়া দিল বঁধুকে’
এই উপহার কি অতীত হয় !
মাঠ ঘাট তমালডাল সাক্ষী
সব সুখের স্মৃতি অতীত সংগোপন
কারো বেহেস্ত কেউ ফাল্গুন থেকে করে আহরণ
আমি স্ত্রীর হাসি দেখে বুঝি মা-তো এভাবেই হাসতেন
হিরণ্ময় গর্ভে আমিও এভাবেই হেসেছি
আমার বলয়ে এভাবেই আমার সন্তান জন্মপংক্তি ধরে শিহরন এনেছে
কোনো অতীতই হারায় না
পথ চেয়ে থাকে কবে ভাবব্রহ্মে
ফিরে আসবে
ভাবব্রহ্ম বিভাজ্য হয়েও পথটা আরোহী অবরোহী সৌন্দর্যে মেলাবে
আমি যখন অকালে চলে যাওয়া অলংকারের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকি
কোথা থেকে আকাশে আলো ফোটে
পাশের বাড়ি থেকে উলুধ্বনি শুনি অস্ফুটে বলি ঐ যে অলংকার এলো দেখো গোলাপ গন্ধরাজ ফুটে উঠেছে
বাতাসে আনন্দের ঠুমরী সুক্ষ্ম মীড়
কোনো অতীতই হারিয়ে যায়না
মর্ম অনুষঙ্গে ফিরে আসে…