শিকার
দয়াময় পোদ্দার
একটি শিকারী পাখি সোনামুখী আলোর অরণ্যে উড়ে যায়,
যেতে যেতে সে পিছনে ফেলে যায় ধূসর পালক, পুচ্ছ, আর
বিগত সকাল। বুকের ভিতরে তার ধনুর্বান রাখা পিঠ।
গুজরাটের গির অরণ্য থেকে আনা হরিনের চামড়ায়
তৈরী ছিলা, হিমাচল প্রদেশের পাথর ঘষে বানানো ফলা,
আর ছত্তিশগরের আদিবাসীদের থেকে আনা গুপ্ত বিষ ;
শিকারের বিষয়ে সে রুদ্র-নিষাদ, হৃদয় বলে কিছু নেই,
ইগলের থেকে ধুর্ত এবং একাগ্রতায় পেরোচ্ছে সৌরকাল
একজন্ম আলোভুখ নিষাদ বালক পার হয় চন্দ্রকাল
সে অরণ্যে সন্তর্পনে নুপুর বাজে পাতায় হাওয়ার গান,
বেজেই মিলিয়ে যায় চোখের পলকে, স্থিধৌ হও ফুলে- ফলে
সোনামুখী প্রিয়তমা আলো,, তোমাতে স্নান একমাত্র শিকার!