গৌতম কুমার গুপ্তের তিনটি কবিতা
সি লে বা স
প্রিয়দর্শিনী তোমার প্রসাধনী চর্চা পাঠয়োগ্য ছিল
সিলেবাসের সংজ্ঞা সেটাই কথিত ছিল
শরীরের বসন্তসোহাগী রোদ শ্রাবণী মেঘের বৃষ্টি
সরে যাওয়া চুলের দু এক সূতো বিন্যাস
আমার পঠনপাঠনের ভিসুয়াল অভিশ্রুতি ছিল
নিন্দা প্রশংসা যাই বলো তোমার সবিশেষে
আমার চোখে আলোর রৌদ্র ঝলসে যায়
বর্ণ গন্ধ ছন্দ অলংকার কিছুই শিখি নি
এখন তোমার হাসিতে দেখি কবিতার রং ফোটে
কান্নায় নেমে আসে আমার না দেখা জলপ্রপাত
মনোযোগী আমি পাঠক তোমার প্রসাধনী চর্চার
বহুল অঙ্গরাগে পড়ি চন্দন- গন্ধের পদাবলী
এবং প্রতিটি অক্ষর খুলে খুলে পড়ে নিতে চাই
আমার সিলেবাসের অভুক্ত পাঠ্যতালিকা
……………..
রা ত্রি জ
রাত্রির জন্ম হলে
আমার মধ্যে নিশাচরেরা জেগে ওঠে
দেখি সত্য মিথ্যা রভস।
আদিম রিপুু টনটন করে শিশ্নে
অবৈধ তালিকার ভুল
প্রেত এই আঁধার যোজন
কি মিথ্যা, কি মিথ্যা এই রহস্য তন্তু।
জানি না ঠিক কতোবার
শিকারে যাবে প্রাণিত প্রাণীটি
ততোবার ঘুমে কাবার দিবাকর প্রত্যুষ।
জোনাকি পেঁচকের শীৎকার পেরিয়ে
রাত্রির জন্ম, অবিশ্বাস।
……………
ব্যবহার
ব্যবহৃত হচ্ছি
চোখের গুঞ্জনে কানের মন্দশ্রুতি
দুইয়ে নিল কাগুজে ক্রোধ নির্বিষ অহংকার
এ হাতের সঠিক চপেটাঘাত পড়ল না
পা কষা স্ব মেধার লাথি
এ আঙুল প্রকৃত কলহ জানল না
শুধু বৃষ্টিহীন মেঘপ্রপাত
বজ্র ও বিদ্যুৎ ঝরে গেল
ব্যবহৃত হচ্ছি কথায় কথায়
অহেতুক উপদেশে
নিজের মত সাজিয়ে নিয়েছি খেলাঘর
কাঠকয়লা উড়ু উড়ু ছাই
একবার দু’বার তিনবার
এবং বারবার
ব্যবহৃত হয়েই চলেছি