গল্পঃ জন্মদিন – মৌমিতা রাবেয়া

জন্মদিন
মৌমিতা রাবেয়া

সকাল থেকে এক টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। অসময়ের বৃষ্টি , সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ , শরতের আকাশে কোথায় মেঘ খেলা করবে – না চারিদিক কালো করে এসেছে শ্রাবণের মতো। বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপ এর ফলে টানা তিন চার দিন ধরে বৃষ্টি এক নাগাড়ে।
আজ ইরার জন্মদিন । আজকের দিনটা নিজের সাথেই থাকতেই ভালো বাসে। বই পড়ে, গান শোনে, কবিতা পড়ে , আর ভাবে – বেলা পড়ে এলো।
জন্মদিন নিয়ে হইচই একেবারেই পছন্দ হয় না আজ কাল , সব দিনের মতো বছরের একটা দিন জন্মদিন মনে মনে ভাবেলেও নতুন ক্যালেন্ডার এলেই সেপ্টেম্বর এর বিশেষ দিনে চোখ চলে যায়, কি বার পড়ল এবার, মা বাংলা মতে ইংরেজি মতে দুদিনেই জন্মদিন পালন করতেন। এখন ইংরেজি মতকেই প্রাধান্য দেয় ইরা।
এক সময় বেশ ঘটা করেই জন্মদিন পালন হতো। নতুন জামা পায়েস আর ইলিশ মাছ – জন্মদিনে এই তিনটে থাকতো -ই। সময় যত গড়িয়েছে জীবনের জৌলুশ যত কমেছে, জীবন তত নিঃসঙ্গ একাকী হয়ে পড়েছে। এখন একা একাই জন্মদিন পালন করে, বেশ ভালোই লাগে।
অন্য বছর স্কুলে যায়, ছাত্র ছাত্রীদের সাথে থাকতেই ভালো লাগে। চুপি চুপি লজেন্স-ও দেয় ওদের, যাতে কেউ টের পায় না। স্টাফ রুমে জানাজানি হলে বাঁকা কথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠবে।
– আমরা আর জনপ্রিয় হবো কি করে ? আমরা তো আর লজেন্স দিয়ে, আস্কারা দিয়ে
– ছাত্র – ছাত্রীদের মাথায় তুলি না । আমরা জানি ছাত্র – শিক্ষকদের মাঝে একটা সীমারেখা থাকা দরকার । ওটা অতিক্রম করলে ছাত্র আর ছাত্র থাকে না মাথায় চড়ে বসে, তখন আর সামলানো যায় না।
আর দুই মাস আছে ইরার রিটারমেন্টের। এখনো সেই একই কথা শুনতে হয়। ইরা বন্ধুর মতো মেশে বলেই ওরা এতো সাহস পায় সব সময় স্টাফ রুমের সামনে আসতে, ইরা দি, ইরা দি করতে । একটু ধমক একটু শাসনে রাখতে হয় স্টুডেন্টদের। করিডরে স্টুডেন্টদের সাথে এমন ভাবে গল্প করতে করতে যায় মনে যেন বন্ধু। ইরাদিকে নিয়ে আর পারা গেল না। এই কথাগুলি ইরার গা সহা হয়ে গেছে। তবে ইরা আজো বোঝে না ছাত্র শিক্ষক এর মাঝে সীমা রেখাটা কে টানবে ? কে ঠিক করবে? শিক্ষক ? ছাত্র ? না — এই স্টিস্টেম ?
গত বছর এবছর পর পর দুটো জন্মদিন বাড়িতে ইরা একা। ঘর আর বারান্দা এই এখন তার পৃথিবী, বারান্দার কটা ফুলের টব এখন ইরার বন্ধু। করোনার জন্য ঘরে বন্দী দেড় বছরের বেশি। বাইরে বেরনোর কথা ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে আজকাল।
একটা সময় ছিল – কি না করেছে এখন ভাবলে অবাক লাগে। স্কুল, নাটকের রির্হাসাল, স্টেশনের ছেলেমেয়েদের কবিতা শেখানো , তাদের নিয়ে কালচারাল অনুষ্ঠান করা এখন মনে হয় গত জন্মের কথা।
এখন স্কুল যাওয়ার কোন তাড়া নেই। দেড় বছর ধরে অনলাইন পড়ানো চলছে , কি যে শিখছে ছাত্র-ছাত্রীরা ইরা ঠিক বুঝতে পারে না। শিক্ষক ছাত্রের যোগাযোগটা কেমন আলগা হয়ে যাচ্ছে। দেড় বছর ছাত্র- ছাত্রীদের সাথে দেখা হয় না খুব মন খারাপ লাগে , ওদের সাথে গল্প করতে খুব ভালো লাগে। ওদের থেকে কত কিছু শেখে ইরা এখন। ছাত্র ছাত্রী ভর্তি ক্লাস ঘরটাকে খুব মিস করে।
এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। থামার কোন লক্ষন নেই। অন্য দিন হলে কিছু খাবার অডার দিতো বা কিনে আনতো। নিজেই সেলিবেব্রেট করতো। আজ আর এই বৃষ্টির দিনে বাইরে বেরনো ইচ্ছা করছে না , বাড়ির সামনেই এক হাঁটু জল, এখন বৃষ্টির জল ডিঙিয়ে ভিজে একশা হয়ে ইলিশ কিনতে যাওয়ার কোন মানেই হয় না। আগে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগতো এখন বুড়ো হাড়ে হাফ ধরে। বৃষ্টিতে ভিজলেই হাঁচি কাশি জ্বর সে এক একসা কাণ্ড। মনে মনে বলল ইরা ইলিশ রবিবার খেও কেমন।
পাঁচ রকম ভাজা রুইমাছ দিয়ে প্লেট সাজিয়েছে সুন্দর করে।প্রদীপ জ্বালিয়ে এই জীবনটা আরতি করে, নিজেকে বলে শুভ জন্মদিন ইরা। ভালো থাকো, আনন্দে থাকো, পৃথিবীর জল হাওয়া মানুষ কে প্রানভরে ভালোবাসো, বুক ভরে নিশ্বাস নাও।
মনে মনে মা বাবা কে প্রণাম করে। এক মুহূর্ত ভাবে কেমন আছো তোমরা? আমি ভালো আছি, দেখো আনন্দে আছি।
বৃষ্টি হয়েই চলেছে। দুপুরে ভাত ঘুমের অভ্যাস নেই, শারদীয়ার পাতা ওল্টাচ্ছে আর বারে বারে কান চলে যাচ্ছে বৃষ্টি পড়ার শব্দে। একদ্ভুত মাদকতা আছে এই শব্দে। মনে হচ্ছে যেন কোনো পাহাড়ের কোলে বসে বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনছে–
ফোনের আওয়াজে ঘোর কাটে। অচেনা নম্বর। কোনো ছাত্র ছাত্রী করেছে ভেবে ইরা বলে
— হ্যালো কে বলছো
— শুভ জন্মদিন। কেমন আছেন আপনি?
—ইরার ভ্রুদুটো কুঁচকে উঠলো
–কে? কে বলছো?
—আপনি এখনো ঘুমানোর সময় সঞ্চয়িতা পড়েন?
বৃষ্টি পড়লে প্রেমের কবিতা বলেন ?
— হ্যাঁ , কে বলছো ? কোন ইয়ার ? কি নাম বলো ? তুমি আমার জন্মদিন জানলে কি করে ?
— আপনি এখনো বড় টিপ পড়েন?
— হ্যাঁ, পড়ি। তোমার নামটা বলো।
— আপনি আপনার প্রিয় কবিতাটা বলবেন একবার, আপনার জন্মদিনে আপনার কন্ঠে কবিতাটা খুব শুনতে ইচ্ছা করছে।
—কোন কবিতা ?
— হাজার বছর ধরে পথ হাঁটতেছি পৃথিবীর পথে…
— ও তুমি জানো ‘বনলতা সেন ‘আমার প্রিয় কবিতা?
—হ্যাঁ, আরো একটা কবিতার অনুরোধ করবো
‘শান্তি নয় স্বপ্ন নয় আমার মাথার ভিতর এক বোধ জন্ম লয় ‘
— হ্যাঁ, জীবনানন্দ ‘বোধ ‘। তুমি জানো কবিতাটা
— হ্যাঁ, আপনার কন্ঠে প্রথম শুনি। তারপর লক্ষবার পড়েছি,আপনার মত কোনোবার কবিতার ভিতর পৌঁছাতে পারি নি।

” জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হ’য়ে—
সন্তানের জন্ম দিতে-দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,”
— তুমি এই কবিতা শুনতে চাইছো ? এখন তো কেউ এসব কবিতা..
তোমার নাম টা বলো তো ?
—আমায় আপনি নামে চিনবেন না।
—কোন ইয়ার বলো ? আমার মনে পড়ে যাবে।
—- ইয়ার বললেও মনে পড়বে না।
— আচ্ছা কোথায় থাকো ?
— দিল্লী।
ওব্বাবা সে তো অনেক দূর!
তা অতো দূর পৌঁছালে কি করে ?
— আপনার কবিতার মানে খুঁজতে খুঁজতে..
“আলো-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;
স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়;
আমি তারে পারি না এড়াতে,”

ঐ যে আপনি বলতেন —
‘হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়’
তার-ই মানে খুঁজতে খুঁজতে দিল্লি পৌঁছে গেলাম। সেখানে একটা কোম্পানি আছে।

— বাহাঃ সে তো খুব ভালো। নিজের স্বাধীন ব্যাবসা। খুব ভালো।
— বিয়ে করেছো?
—না,
সামনে এসে সে বললে না যে ” এতো দিন কোথায় ছিলে”।
— দূর পাগল সে সব কবিতায় হয়, বাস্তবে হয় না রে।
— আপনি যে বলেন কবিতা সব সময় সত্য কথা বলে।
— হ্যাঁ, কবিতা সত্য কথা বলে। তবে..
— এমন হবে না বলছেন?
— না, মানে হবে না -বলছি না- তবে,
—তবে কি?
— কবিতা মধ্যে বাঁচা অনেকটা ইলিউশনস এর মধ্যে বাঁচা। বাস্তব আর পরাবাস্তব এর মধ্যে তফাত যতটা-
—আপনি তো বেঁচে আছেন কবিতার মধ্যে। আপনার বাসভূমি কবিতা, তবে আমি কেন কবিতার মধ্যে আমার ঘর গৃহস্থালি পাবো না?
— দেখো, বাস্তব আর পরাবাস্তব এক নয়–
—আপনার কবিতাই তো আমায় পথ দেখিয়েছে।
যখন দুবেলা খেতে পাই নি রেলস্টেশনে হকারী করেছি সারা দিন অপেক্ষা করেছি কখন সন্ধ্যা আসবে। আপনার কবিতা দুঃখের দিনগুলিতে বাঁচতে শিখিয়েছে হাসি মুখে।
ইরাকে এক ঝটকায় কুড়ি বছর আগে নিয়ে গেল। তখন আর কত বয়স হবে আটত্রিশ -চল্লিশ। স্কুল করে রেলস্টেশনের ছোট্ট ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের কবিতা শেখাতে যেত। একটা ‘এন জি ও ‘ – র সহায়তায় কাজটা করছিল ইরা। ইরার জীবনের সব চেয়ে ভালো সময় কেটেছিল নিষ্পাপ ছোট্ট ছোট্ট ছেলে -মেয়েগুলির সাথে।
ছেলে-মেয়েগুলির দুচোখে স্বপ্ন ছিল, বুকে বিশ্বাস ছিল কিছু করবার। এই পথশিশুদের নিয়ে কয়েকটা নাটকও করেছিল। বাংলা একাডেমিতে কবিতার একটা অনুষ্ঠান করেছিল। হঠাৎ -ই সব ওলোট পালোট হয়ে গেল।
ইরা জানতে পারে ছোট ছোট মেয়েদের একটু পড়াশুনা শিখিয়েই বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে বিদেশে প্রাচার করা হয়।
ইরা সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশ করে। কোন কাজ হয় নি। একদিন লোকাল এক মন্ত্রীর চেলা স্কুলে আর বাড়িতে এসে লাশ ফেলে দেবার হুমকি দেয়।
লোকাল পুলিশ বলল, “ম্যাডাম ছেড়ে দিন বড় বিপদে পড়ে যাবেন। “
মা বাবা তখন বেশ ভয় পেয়ে ইরাকে দিয়ে শপথ করিয়ে নিল ও যাতে আর কোনোদিন স্টেশনের ছেলেমেয়েদের কাছে না যায়। খুব কষ্ট হয়েছিল প্রথম প্রথম তারপর যা হয় মেনে নিয়েছিল নিজের পরাজয়টা, আজ দেখছে বেমালুম ভুলেও গেছে। ইরা আর কোনোদিন রেলবস্তি বা রেলস্টেশনে যায় নি।
সব মনে পড়ে গেল, সবটা –একটা পনের ষোলো বছরের ছেলে ট্রেনে হকারী করতো, ইরার ওখানে যাওয়ার আগেই সে সেই জায়গা পরিষ্কার করে জলের বোতল দিয়ে রাখতো। আর তন্ময় হয়ে কবিতা শুনতো। অনুষ্ঠানের সময় খুব সাহায্য করেছিল। ইরা বাচ্চাদের মজার কবিতা শেখাতো, ছেলেটির আর একটি মেয়ে বড়দের কবিতা শুনতে চাইতো । ওদের আগ্রহ দেখে ইরা জীবনানন্দ শোনাতও।
হ্যাঁ মনে পড়েছে ছেলেটির নাম ছোট্টু,
—ছোট্টু– কি ? নাম ঠিক বললাম তো ?
—হ্যাঁ, আপনার মনে আছে?.
—হ্যাঁ কেন মনে থাকবে না?
—তোরা কত সুন্দর কবিতা বলতিস ; আচ্ছা তোর সাথে একটা মেয়ে, তোর-ই বয়সী হবে। এক ঢাল চুল ছিল, দুটো গভীর চোখ, নাম টা ঠিক মনে করতে পারছি না, লাজুক প্রকৃতির ছিল একটু।
—হ্যাঁ আপনি তো ওকে বনলতা বলে ডাকতেন.।
— হ্যাঁ হ্যাঁ বনলতা ঠিক ঠিক। মনে পড়েছে। কেমন আছে ? কোথায় থাকে রে ও? খুব ব্রাইট ছিল মেয়েটি।
— একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, হারিয়ে গেছে চোরা স্রোতের বাঁকে
আপনি যেদিন থেকে আসা বন্ধ করলেন তার দুই দিনের মাথায় ওকে ওরা তুলে নিয়ে যায়। ওকে তুলেবে বলেই আপনাকে ওরা চমকাছিল, আপনার জন্য ওদের রেকেডটা প্রায় ধরা পড়ে যাচ্ছিল।
— সে কি রে? ওকে তুলে নিয়ে গেল তোরা পুলিসে জানালি না? কেও কিছু বলল না?
—কে বলবে? ওর মামাকে কিছু একটা টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। আপনি প্রতিবাদ করতেন তাই আপনাকে চুপ করিয়ে দিল।
—হ্যাঁ আমায় চুপ করিয়ে দিল। ইরা খুব আস্তে আস্তে বলে–
এখন কোনো খবর জানিস ওর ?
—দুবাই এ থাকে
আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি।
—আচ্ছা ছোট্টু ওকে আনা যায় না রে ? তুই ওকে একটা স্বাভাবিক জীবন দিতে পারিস না।
কিছু ক্ষণ চুপ। ফোনে শুধু নিশ্বাসের শব্দ।
ছোট্টুর মনের মধ্যে কয়েকটা লাইন ঘুরপাক খাচ্ছে-
” আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে—যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিলো একদিন–এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি; যে-নক্ষত্র—নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা..”

—মুখে শুধু বলে , চেষ্টা করতে পারি।
—তা হলে মেয়েটাকে ফিরিয়ে আন ছোট্টু। মেয়েটাকে আমার সঙ্গে নিয়ে এলে ওকে বাঁচাতে পারতাম। ও আমায় বারে বারে বলতো দিদি তোমার বাড়িতে কাজ করবো। আমায় তোমার বাড়ি নিয়ে চলো, আমার মামা আমায় বিক্রি করে দেবে। ঈশ্বর আমায় ক্ষমা করবে না ছোট্টু।
ছোট্টু আমি জন্মদিনে কখনো কারুর কাছে কোনোদিন কিচ্ছু চাই নি। আজ চাইছি । মেয়েটাকে ফিরিয়ে আন। তোর তো এখন ক্ষমতা হয়েছে, টাকা পয়সা হয়েছে, তুই চেষ্টা করলে পারবি।
সেদিন যদি আমি ভয় না পেতাম তাহলে মেয়েটা এই ভাবে হারিয়ে যেতো না রে। ইরার চোখে জল… প্রতিদিন বনলতারা হারিয়ে যাচ্ছে রে…
—আমি চেষ্টা করবো। অনেকটা সময় চলে গেছে। দুবাইতে আমার এক চেনাশুনা লোক আছে। ওই আমায় খবর দেয় ও এখন ওখানে আছে।
—আমি তোদের অপেক্ষায় থাকবো রে।
— আজ রাখি আমার প্রণাম নেবেন। আর হ্যাঁ , শুভ জন্মদিন কবিতা দি। ভালো থাকুন আর এমন সুন্দর করে থাকুন, আমাদের মত মানুষদের এই ভাবে পথ দেখান আলোর পথ, জীবনের পথ।
..ইরা ভুলেই গিয়েছিল ওরা ইরা কে কবিতা দি বলে ডাকতো। আজ জন্মদিনে তুই আমায় আমার হারিয়ে যাওয়া সময়, ভালোবাসা –অনেক কিছু ফিরিয়ে দিলি রে ছোট্টু। অনেক কিছু। বেঁচে থাক বাবা, বেঁচে থাক,

ফোন রাখা পর বারান্দায় এলো বৃষ্টি অনেক ক্ষন ধরেছে।
আকাশ পরিষ্কার দুই একটা তারা দেখা যাচ্ছে
ইরা ভাবে যাক দুর্যোগ কাটলো। কদিন পরেই উমা ঘরে ফিরবে।
ঘড়ি তে রাত্রি বারোটা। গুডবাই জন্মদিন । সামনের বছর থাকলে দেখা হবে। ভালো থেকো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *