সমর ক্ষেত্রে
অমিত মজুমদার
প্রতিটা সমরখেলায় কিছুটা ম্যাজিক থাকেই
আমি তাই বল পাঠাবো কালকেতু ফুল্লরাকেই।
যে এখন বাজায় বাঁশি রাতে রাত পেরেক মেরে
তার এখন ভীষণ দাপট ঝড় শেষে কপাট নেড়ে।
জলে দোষ থাকতে পারে সে জলেই পুকুর ভরাই
বালি আর চরকা কেটে তোমাদের কাপড় পরাই।
পেট জুড়ে খিদের সময় চোখ ঢাকা চশমা রাখি
লাল বা সে হোক না কালো মৃগয়ার অনেক বাকি।
এই দেখো লাল বাতাসায় পেট ভরে কয়েক জনের
লোক দেখে কুসুম কুসুম মুখ পোড়ে বৃন্দাবনের।
পেশাদার সব গোপিনীর ছেঁড়া জিন্স আর পিছুটান
হ্যাক করে চিনতে শেখায় ফ্লপ করা তার কিছু গান।
দিন শেষে ভজন করে দুই হাতে তবলা বাজাই
কিছুটা রাগমোচনেই এই দেহে গোলাপ সাজাই।
গোলাপীর যন্ত্রণাটা তুমি আজ কোথায় আঁকো ?
বলে দাও চোখের ভাষায় কি রকম গল্প রাখো।
গল্পে সে প্রলেপ দিয়েই ভরে যায় রাজার ঘড়া
ওই চোখে দুঃখ দিতেই আমাদের চশমা পরা।
কেউ যদি চশমা খোলে গোহারান হারাই তাকেও
যেরকম হারিয়ে দিতাম কালকেতু ফুল্লরাকেও।