অভিসারিকা
সৌমী চক্রবর্তী
আখবারো কি পান্নো মে
দস্তক লে রেহি হেঁ করবটে
ইঁয়াদ তরস্তে ওহ আনগুনত্ সবেরা,
দিন ঢলতা হ্যায়
তুমহারে খোয়াবো কি শিকস্তে মে।
নিশীথ যামিনীর শয্যা প্রস্তুত
সূর্যের শেষ রশ্মি গুনছে সময়।
এক একটা শুকনো পাতার খসখস শব্দ
অগুনতি রাধাবিরহের দীর্ঘশ্বাস হয়ে
মাটি ছুঁয়ে ফেলে
বাসি কাপড়ে দেবসেবার মতো।
কোন এক কিশোরী লতা
চয়ন করে চলেছে রতিক্রিয়ার প্রাক মূহুর্তের
লাজুক সমর্পণের স্থির চিত্তকে।
তুলোট কাগজে লেখা হয়ে যাচ্ছে
অনন্ত কাজের ফাঁকে একটি অকাজ।
একবার; মাত্র একবার মোহন রূপ দরশনে
কেটে যায় হাজার বছরের অপেক্ষা।
সেই মেয়েটির বিনিদ্র রজনীর কথা
লিপিতে লিপিতে আখরে আখরে
পান্ডুলিপির তুলোট কাগজে ভরে দেন
সাধক-সন্ততিবৃন্দ।
হাজার বছরের অস্ফূট বিলাপ ধাক্কা মারে
স্থির অটল পাথরের গায়ে।
ফিরে আসে প্রতিধ্বনি, শুধু ফেরে না সময়।
নিষ্কাম মনোবাঞ্ছা নিয়ে
ওগো মেয়ে; তুমি কী আজও শুনতে পাও
ওই বাঁশরীর সুর
অসীম অন্ধকারের শেষে আলো ফোটা ভোরে!
ওগো জননী-জায়া-সূতা
তুমি কি ভাসাতে পারো পানসি ওই নীল যমুনায়?
অতল কালো জলে কেন ভেসে ভেসে কেঁদে মরো বলো!
বৈরী পিয়া, রুঠত কাঁহে
না যাও না যাও সখী হামে ছোঁড়,
কালি অঁন্ধেরা ঘায়েল কিয়া মুঝে
না ছোড় বালম্ ইঁয়ে ডোর।