জিরো কিমি
রূপক চট্টোপাধ্যায়
হে প্রিয়তমা,
মান্ধাতার কলিজা নিঙড়ানো
ফোঁটা ফোঁটা আদিম দিয়েছো আমায়, এতোকাল!
হঠাৎ আধুনিক হয়ে যাওয়া
রোমান ক্যাথিড্রাল, আলোচনা সভা,
ফুঁ দেওয়ার মোমবাতি জ্বালানো জন্মদিন।
একে একে আমায় নেশাগ্রস্ত করে।
উৎসাহিত চুমুকে
কাঁপতে থাকে গ্রামান্তর, আঞ্চলিক উত্তেজনা!
আমি তার ঘোরে
সুসংহত খাদ্য শৃঙ্খল ছিঁড়ে
শহরগামী বাসে উঠে পড়ি।
পিছনে পড়ে থাকে, দেনার দায়ে
বিকিয়ে দেওয়া রোদ, হলুদ পূর্ণিমা,
হেঁসেলে শূন্য করে এক পায়ে দাঁড়ানো
অনটনের দেব দেবীরা!
হাইওয়ে ধরে বাস ছোটে
অজানা গন্তব্য তখন ঝাপসা চিঠির মতো
কাঁপে স্নায়ু দুর্বল হাতে। দুঃখ অববাহিকা
পেরিয়েই নাভিশ্বাস ওঠে। ভীড়ের মাঝে
দলিত শরীর, আধেক উন্মাদনা,
হাতড়ে খুঁজি আত্মপ্রকাশ!
এভাবেই কখন গন্তব্য চলে আসে।
মাইলফলকে ছলছল করে জিরো কিমি!