নিবন্ধঃ বাঁকুড়া জেলার পর্যটন শিল্প : অনন্ত সম্ভাবনা – মধুসূদন দরিপা

বাঁকুড়া জেলার পর্যটন শিল্প : অনন্ত সম্ভাবনা
মধুসূদন দরিপা

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ দর্শন পর্যায়ে তরুণদেব ভট্টাচার্য বাঁকুড়া জেলা নিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো পাতার বিবিধ বিবরণ পূর্ণ গ্রন্থে জেলার দর্শনীয় স্থান ও পুরাকীর্তি অধ‍্যায়ে ৯৫ টি স্থানের উল্লেখ করেছেন । পঞ্চাশ বছর আগে অমিয় কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় তাঁর ‘বাঁকুড়া জেলার পুরাকীর্তি’ গ্রন্থে ৮৬ টি পুরাকীর্তির পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন । কিন্তু দুই দশক আগে দেশের ভ্রমণ স্থান গুলি নিয়ে প্রকাশিত অন‍্যতম সহায়ক গ্রন্থ ‘ভ্রমণ সঙ্গী ‘-তে জয়রামবাটি, বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর ও শুশুনিয়া মাত্র এই চারটি ট‍্যুরিস্ট স্পট উল্লেখিত হয়েছে । বলা বাহুল্য, আজও এই চারটি স্পটের বাইরে সাধারণ ট‍্যুরিস্ট বাঁকুড়া জেলার বিপুল পর্যটন সম্পদ সম্পর্কে উদাসীন । এর জন‍্য দায়ী অবশ্যই উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো নির্মাণে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে চরম ঔদাসীন্য ।

পর্যটন শিল্পে আমাদের দেশের তুলনায় অন‍্যান‍্য দেশ বহুলাংশে এগিয়ে গেছে, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না । কিছু কিছু দেশ শুধুমাত্র পর্যটনের উপর নির্ভর করেই বেঁচে আছে । যেমন, থাইল্যান্ড, ভুটান, সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ ইত‍্যাদি । পর্যটন শিল্প পুষ্ট হলে বিশেষত বিদেশীরা আকৃষ্ট হন বেশি এবং ফলতঃ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ‍্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক বনিয়াদ শক্তিশালী হয় ।

পর্যটন শিল্পের সার্বিক সাফল্যের জন‍্য বহুবিধ উপাদান নির্ভর করে ।

ক) পুরাণ ও ইতিহাস
খ) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
গ) পুরাকীর্তি ও স্থাপত‍্য শিল্প
ঘ) যাতায়াতের সুবিধা
ঙ) সংশ্লিষ্ট স্থানে থাকা খাওয়ার সুবিধা
চ) স্থানীয় শিল্প সামগ্রীর বৈচিত্র্য ও বাজার

বাঁকুড়া জেলা পশ্চিম রাঢ় অঞ্চলের এক সমৃদ্ধ প্রাগৈতিহাসিক অনার্য জনপদ । নিষাদভূমি । আদর্শ একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রয়োজনীয় প্রায় সবকটি উপাদান এখানে আছে । পাহাড়, অরণ‍্য, নদী, হ্রদ । পুরাকীর্তি, স্থাপত্য । পুরাণ, ইতিহাস । স্থানীয় হস্তশিল্প ও লোকসংস্কৃতি । জেলার ভৌগোলিক অবস্থানটিও চমৎকার । উত্তর পূর্বে বর্ধমান ও হুগলি এবং দক্ষিণ পশ্চিমে পুরুলিয়া ও মেদিনীপুর । কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘন্টার দূরত্ব । জামশেদপুর- ধানবাদ তিন ঘন্টার । নিকটবর্তী বিমানবন্দর অন্ডালও মাত্র দেড় ঘন্টার পথ । সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব‍্যবস্থাও রয়েছে । জেলার মধ‍্যে ও আন্তঃ জেলা স্তরে বাস যোগাযোগ ব‍্যবস্থাও বেশ ভালো । বেসরকারি স্তরে যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ‍্যাও অপ্রতুল নয় ।

সাধারণ পর্যটক বিজ্ঞাপন দেখে এই জেলায় সাধারণ ভাবে ভ্রমণ করে থাকেন : জয়রামবাটি-বিষ্ণুপুর-মুকুটমণিপুর-ঝিলিমিলি-শুশুনিয়া-বিহারীনাথ । ইদানিং কালে নেট দুনিয়ার দৌলতে এর বাইরেও কিছু কিছু ব‍্যতিক্রমী স্থানে ভিন্ন রুচির পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন । কিন্তু বলা বাহুল্য যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছর পরেও বাঁকুড়া জেলার বিপুল পর্যটন সম্পদের মধ‍্যে শতকরা পঞ্চাশ ভাগ আজও অধরা হয়ে আছে । সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই আলোচনায় আমি সেই অধরা সম্ভাবনা নিয়ে কিছু তথ‍্য উল্লেখ করবো এবং আগামী দিনে সেগুলি বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরতে কয়েকটি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেবো ।

বর্তমানে পর্যটন শিল্পের ফোকাস বহুমুখী । অর্থাৎ একজন পর্যটককে আকর্ষণ করার জন‍্য একটি ট‍্যুরিস্ট স্পটকে বহু ধারায় বিভক্ত করে তুলে ধরা হয় । বাঁকুড়া জেলার পর্যটন সম্পদকেও আমরা সেই ভাবে তুলে ধরতে পারি । যেমন —

ক) অরণ‍্য বা ফরেস্ট সার্কিট : জয়পুর-রাণীবাঁধ-ঝিলিমিলি ইত্যাদি ।

খ) পাহাড় বা হিল সার্কিট : কোড়ো পাহাড়-শুশুনিয়া-বিহারীনাথ-মশক-বড়দি পাহাড় ইত্যাদি ।

গ) জলাশয় বা লেক সার্কিট : মুকুটমণিপুর-তালবেড়িয়া-গাঙদোয়া ইত্যাদি ।

ঘ) পুরাকীর্তি বা এনসিয়েন্ট মনুমেন্ট সার্কিট : বিষ্ণুপুর-সোনামুখী-মালিয়াড়া ইত‍্যাদি ।

ঙ) ধর্মীয় স্থান বা রিলিজিয়াস সার্কিট : জয়রামবাটি-বিষ্ণুপুর-এক্তেশ্বর ইত‍্যাদি ।

চ) স্থানীয় হস্তশিল্প বা লোকাল হ‍্যান্ডিক্র‍্যাফ্টস সার্কিট : পাঁচমুড়া – বিষ্ণুপুর-শুশুনিয়া-কেঞ্জাকুড়া-হাটগ্রাম-বিকনা ইত্যাদি ।

এইভাবে সার্কিটগুলি আরও একাধিক ভাগে বিভক্ত করে বিস্তৃত করা যায় বিবিধ বিচিত্র রুচির পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন‍্য ।

অতঃপর স্পট এবং সার্কিট অনুসারে উন্নয়নের জন্য কিছু আকর্ষণীয় পরিকল্পনার প্রস্তাব করি :

১। বিষ্ণুপুর : মল্লরাজার দেশ বিষ্ণুপুরে আজও সারা বছর ধরে প্রচুর পর্যটক আসেন । এখানকার পুরাকীর্তি গুলি সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত হয়েছে । বেশ কিছু মাঝারি ও উচ্চমানের হোটেলও নির্মিত হয়েছে সম্প্রতি কালে । শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার অনুসরণে ডিসেম্বর মাসের শেষে সরকারি উদ‍্যোগে পাঁচদিন ব‍্যাপী বিষ্ণুপুর মেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ।
উচ্চ প্রযুক্তির ব‍্যবহার করে বিষ্ণুপুরের ইতিহাস অনুসরণে একাধিক লাইট এন্ড সাউন্ড প্রোগ্রাম নির্মাণ করে উঁচু টাওয়ার বা মঞ্চ থেকে সংশ্লিষ্ট দ্রষ্টব্য পুরাকীর্তি গুলি দেখানো যেতে পারে । যেমন খাজুরাহো কিংবা ঝাঁসিতে আছে । লালবাঁধ কিংবা মৃন্ময়ী মন্দির নিয়েও অনুরূপ প্রোগ্রাম নির্মাণ ক‍রা যেতে পারে ।

২। মুকুটমণিপুর : এশিয়ার বৃহত্তম এই জলাশয়ে বেসরকারি উদ‍্যোগে উন্নত মানের ওয়াটার স্পোর্টস যথা স্কুবা ডাইভিং, প‍্যাডেল বোট, ওয়াটার স্কুটার, প‍্যারা গ্লাইডিং ইত্যাদি প্রবর্তন করা যেতে পারে ।

৩। শুশুনিয়া -বিহারীনাথ : এই দুটি পাহাড়ে রোপওয়ে তৈরি করে বিনোদনের উদ্দেশে হিলটপ ক‍্যাফে, চিল্ড্রেনস প্লে-পার্ক ইত্যাদি ব‍্যবস্থা করা যেতে পারে । ট্রেকিং রুট তৈরি করে দুটি পাহাড়েই উৎসাহী পর্যটকদের শর্ট হিল ট্রেকিং এর জন্য আকর্ষণ করা সম্ভব । পর্যটকদের সুবিধার জন্য স্থানীয় অধিবাসীদের সুলভ ইকো ফ্রেন্ডলি হোম স্টে গড়ে তুলতে আগ্রহী করে তুলতে সরকারি স্তরে প্রচার চালাতে হবে ।

৪। জয়পুর -রাণীবাঁধ-ঝিলিমিলি : এই রোমাঞ্চকর অরণ‍্য সার্কিটে বন দপ্তরের সহায়তায় বিভিন্নস্থানে সাফারি জোন তৈরি করা যায় । যাতে জিপে চড়ে পর্যটকরা জাঙ্গল সাফারি ও বন‍্যপ্রাণী দর্শন করতে সক্ষম হয় । জঙ্গলের মধ‍্যে ক‍্যাম্প স্টে এবং ট্রি টপ স্টে ব‍্যবস্থা ক‍রা যেতে পারে অতিরিক্ত এডভেঞ্চার প্রিয় ট‍্যুরিস্টদের জন‍্য ।

৫। স্থানীয় হস্তশিল্প : পাঁচমুড়া-বিষ্ণুপুর-শুশুনিয়া-কেঞ্জাকুড়া-হাটগ্রাম-বিকনা অঞ্চলে আদর্শ শিল্পগ্রাম এবং আর্কাইভ তৈরি করে পোড়ামাটি, সিল্ক-তাঁত বস্ত্র, পাথর, কাঁসা, শঙ্খ, ডোকরা ইত‍্যাদি প্রসিদ্ধ হস্তশিল্প গুলি উপযুক্ত প‍্যাকেজিং সহ দ্রষ্টব্য করতে হবে । যাতে দেশি বিদেশি পর্যটকরা সেখানে গিয়ে ন‍্যায‍্য দামে একাধিক বৈচিত্রপূর্ণ হস্তশিল্প সংগ্রহ করতে পারেন ।

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে সম্বন্ধীয় স্থান গুলি যথা ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি বিজড়িত ছেন্দাপাথর, জঙ্গল মহল বিপ্লবের আকরভূমি অম্বিকানগর রাজবাড়ী, বাঁকুড়া শহরের বিপ্লবী বাড়ি ইত্যাদি স্থান গুলি তথা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গান্ধীজী, নেতাজী, রবীন্দ্রনাথ, নজ‍রুল স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলি বিশেষ ভাবে বিজ্ঞাপিত করে ট‍্যুরিস্ট স্পট হিসেবে আকর্ষণীয় করে তোলার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে । অনুরূপভাবে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, রামকিংকর বেইজ, যামিনী রায় প্রমুখদের বিবিধ কৃতি , ভাস্কর্য, চিত্রকলা মূল অথবা রেপ্লিকা সংগ্রহ করে তাঁদের জন্মস্থানে প্রদর্শিত করলে পর্যটকদের আগ্রহ, উৎসাহ নিশ্চিতরূপে বৃদ্ধি পাবে ।
সামন্তভূম ছাতনা অঞ্চলে বড়ু চণ্ডীদাস ও রামীর উপাখ‍্যান অবলম্বনে তথা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব পদাবলী কিংবা চর্যাপদ অনুসারে স্থানীয় লোকসংস্কৃতির সহায়তায় স্থানীয় লোকশিল্পীদের দিয়ে নাচ গান পালা ইত্যাদি মনোরঞ্জনকর মাধ্যমে পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা সম্ভব । শুশুনিয়া গন্ধেশ্বরী অববাহিকায় এই প্রেক্ষিতে একটি লেজার শো নির্মাণ করে যুগপৎ স্থানীয় ইতিহাস লোকসংস্কৃতির ও পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন সম্ভব । শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথি আবিস্কার নিয়ে কাঁকিল‍্যা গ্রামে বসন্তরঞ্জন বিদ্বদ্বল্লভের মূর্তি ও পুঁথির অনুরূপ প্রদর্শনী করা যেতে পারে ।

পুরাকীর্তির প্রতি আগ্রহী পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গাইডের সহায়তায় সরকারি বা বেসরকারি মাধ্যমে দুই তিন দিনের একটি ভ্রমণ সূচি তৈরি করে প্রচার করা যেতে পারে । বাঁকুড়া শহর, রাজগ্রাম, বহুলাড়া, সোনাতপল, মেটাল‍্যা, সাহারজোড়া, অযোধ্যা, ধরাপাট, ডিহর, বামিরা, বালসি, বৈতল, ময়নাপুর, ইন্দাস ….প্রভৃতি অর্দ্ধ শতাধিক ঐতিহ্যবাহী পুরাকীর্তি দর্শন বাঁকুড়ার পর্যটনে একটি আলাদা মাত্রা এনে দেবে বলে আমার বিশ্বাস ।
পখন্না বা পুষ্করণা গ্রামটি বাঁকুড়া জেলার সম্পদ । ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এই গ্রামের পুরাকীর্তির স্মারক, প্রাচীন মুদ্রা এবং স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে আকর্ষণীয় প্রদর্শনীর ব‍্যবস্থা করলে নিঃসন্দেহে জেলার পর্যটন শিল্পে নতুন দরজা খুলে যাবে ।

পরিশেষে পর্যটনের সঙ্গে ভ‍্যালু এড করার প্রসঙ্গে একটি মুখরোচক প্রস্তাব দিতে চাই । বেলিয়াতোড়ের মেচা, বিষ্ণুপুরের মতিচুর, বাঁকুড়ার নিকুতি-মণ্ডা-চিত্তরঞ্জন প্রভৃতি জনপ্রিয় মিষ্টি গুলিকে ব্র‍্যান্ডিং করে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে প্রচার করলে জেলার পর্যটন শিল্পে নতুন নতুন পালক যুক্ত হবার প্রবল সম্ভাবনা আছে । এই বিষয়ে স্থানীয় মিষ্টান্ন ব‍্যবসায়ী ও চেম্বার অফ কমার্স-এর প্রতিনিধিদের সহায়তা নিতে হবে ।

উপরোক্ত প্রস্তাব গুলি ছাড়া এই জেলার পর্যটন শিল্পকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে ব‍্যাপক প্রচার সহ যাতায়াত ব‍্যবস্থা ও হোটেল গুলির পরিকাঠামোর আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন করতে হবে । জেলার সর্বত্র রেল যোগাযোগ, স্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ এবং উত্তরবঙ্গ ও কলকাতা থেকে নিয়মিত হেলিকপ্টার পরিষেবার ব‍্যবস্থা করতে হবে । সর্বোপরি ট‍্যুরিজম পরিমণ্ডলে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ‍্যমে বিভিন্ন ভাষায় দেশে বিদেশে লাগাতার প্রচারের ব‍্যবস্থা করতে হবে । তাহলে অচিরেই বাঁকুড়া জেলার বিপুল ঐশ্বর্যশালী পর্যটন সম্পদের ঠিকানা খুঁজে পাবে ভ্রমণ দুনিয়ার মানুষ এবং অনগ্রসর এই জেলার অর্থনীতি ‘বাঁকুড়ার ঘোড়া’-র মতোই টগবগিয়ে ছুটতে থাকবে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ।

One thought on “নিবন্ধঃ বাঁকুড়া জেলার পর্যটন শিল্প : অনন্ত সম্ভাবনা – মধুসূদন দরিপা

  1. খুব ভাল লাগল । পর্যটকদের বিশেষ কাজে লাগবে। তবে কীভাবে খুব সহজে ও স্বল্প খরচে মুকুটমণিপুর কিংবা পাশাপাশি দর্শনীয় স্থানগুলি যাওয়া যায় , সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল যদি কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে , তাহলে পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *