জঠরাগ্নি জ্বলে
সৌমী চক্রবর্তী
চিতাকাঠ ঠেলে ঠেলে আগুন পোহায় শীতল মানব,
তার ওপর হাঁড়ি চড়ে,
একমুঠো খুঁদ-কুঁড়ো
কিংবা খুঁজে দেখলে দেখা যাবে ফ্যানাভাতের জলটুকুই ফুটছে হাঁড়ির কোলে,
যেভাবে গরমাগরম খবর পরিবেশন হয় রোজ।
বাসি রুটি পরিত্যাজ্য নয় বাসি কাগজের মতো।
একটুকরো ছোঁ মেরে নিয়ে পালালো কাক,
ভরা শীতের উষ্ণতা মাখা রোদে
শুকনো খটখটে চামড়া আঁটা বয়স্ক হাড়
বেঁচে থাকার জন্যে বেশিকিছু নয়,সামান্য সাদা মাড়
যদিও জোগাড় করার ক্ষমতা নেই।
হাঁ পেতে তীর্থের কাক হয় তাই,
ধূসর কুয়াশা ভেঙে নবান্নের খবর পায় কেউ কেউ,
কেউ বা পায়না
পঞ্চাশ-সত্তর পেরিয়ে এসেও আধুনিক ভারতের
চাল-চুলোহীন মানুষের দল এন্তার জড়ো হয়
ভিখ্ মাগতে মন্দির-মসজিদের সামনে।
আজও, এখনও।
বিশ্বাস হবে না বাবু লোক
নবান্নের ধান ঝেড়ে ফিরতি পথে পেটে কিল মারে কৃষক
আইন-বিল-পাশ-ফেল মস্ত মস্ত জিনিসের উপর
বাসুকী নৃত্য করে অনায়াসে, অবজ্ঞায়
ভয়ভীতি তুচ্ছ হয় জঠরাগ্নি নলে।