পরাজিত
অমিত মজুমদার
নদীকে ঘুমোতে বলে ঠেলা মারো স্রোতের প্রাচীরে
সে যেমন ছায়া চেনে নিজের পোশাকে সেটা ঢাকে
না দেখা অশনি হাতে জলের চেতনা খুঁজে ফিরে
যেখানে জলের দোষ সে পথেই পাশাপাশি থাকে।
রোদের ভুমিকা দেখে লহরের চোখে জমে ছানি
তুমি কি ভ্রমণ পথে কিছুটা জমিয়ে দেবে খিদে ?
পেটের অশৌচ কালে ধরাপাতে বালি ছুঁতে জানি
বুকের গভীরে ব্যাথা তালি মারে সূঁচে সুতো বিঁধে।
ঠোঁটের সেলাই দেখে জুতোর দোকানে ভিড় জমে
পাদুকা জীবন জুড়ে কিছু কাঁটা কিছু পরিপাটি
সুতোর শ্রমিক ভ্রমে গা-জোয়ারী মনোভাব কমে
শীতল শিবিকা থেকে বাতায়ন ছুঁড়ে ফেলে হাঁটি।
তুমি হাঁটো নদীপথে আমি ঘুম ঢালি তার চোখে
এসব কাহিনি শুনে হাঁটু ভাঙে পরাজিত লোকে।