দৃশ্যান্তর
অনুরাধা চৌধুরী
হলুদ রঙের ক্ষেত,
ন্যাড়া ডালে ঝুলন্ত হনুমান,
একটাও ছায়াদানকারী বৃক্ষ নেই কাছাকাছি।
চারিদিকে রাঙচিতার বেড়া,
শান্ত নদী তীরে পানের বরজ,
রক্তিম ধুলো ওড়ায় ঘোড়ার পায়ের খুর।
মায়াবন্দরে শৈশব।
সবুজ সতেজ মাঠ,
আবাসনে আবদ্ধ কিছু অসম্পূর্ণ সম্পর্ক,
কাঁচা নর্দমায় লাফিয়ে ওঠে ফুটবল,
হৃদয়ের পাঁজর থেকে মস্তিষ্কের অভ্যন্তর,
ঢেকে দেয় পরম মমতায়, বিষন্ন ভালোবাসায় সংঘাত ;
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে, বিমর্ষ সুদূর আকাশে ;
তবুও নির্ভীক কৈশোর।
উন্মুক্ত নীল আকাশ,
ভাঙা পাঁচিলে পা ঝুলিয়ে বসে থাকে মহাকাল!
দেওয়াল লিখন, রাজনীতি, মিছিল, হরতাল।
গোপনে মহড়া দেয় গোলা-বারুদ ;
সুদৃশ্য ফ্ল্যাটবাড়ির গেটে, “কুকুর হইতে সাবধান।”
কল -কারখানায় আধপোড়া মোমবাতি ।
বানভাসি যৌবন।
ধূসর বিরস সারাদিন,
অর্দ্ধেক খোলা জানলায় ভোরের প্রথম আলো,
রাহাজানি, ছিনতাই, লোমহর্ষক ধর্ষণ রাজপথে,
প্রজাপতির কোমল পায়ে হলদেটে আভা ;
মাথা তুলে উঁকি দেয় কংক্রিটের আচ্ছাদন,
ইলেকট্রিকে তারে বসে ঘন অন্ধকার,
ঋতুচক্রে অন্ত জীবন।।
রাজনৈতিক সঙ্গে সৌন্দর্য হাতছানি দেয়া অন্তরস্পর্ষি । ভালো। ধন্যবাদ।