পাঠোদ্ধার
রাজেশ কান্তি দাশ
নীল খামের দুটো চিঠি পেয়েছি এ মাসের ত্রিশ তারিখ
ক্রমিক বর্ণছন্দে লেখা।
খুলে দেখেছি তার ভিতরের লিপিমালা, জলছবি
এর কুসুমবন থেকে ফুল তুলে নিয়েছি;
তবে এর বর্ণক্রমের গ্রাফ বুঝিনি।
তোমার সাথে কত হেঁটেছি আঁকাবাঁকা পথে!
আরোহী ব্যাকরণের নিয়মে পথের শুরু ও শেষের মধ্যে টেনেছি সংযোগরেখা।
পথ চলার ফাঁকে ফাঁকে বসন্তরঙ মেখেছি
চৈতালি বাতসে দেখেছি গোধূলিআভা, তার কমলাডোবা সৌন্দর্যের রূপ
উষ্ণ বায়ুতরঙ্গের মাঝে পুরোনো দিনের মতো গ্রীষ্মের খররোদে পুড়ার পাঠ
বুঝার চেষ্টা করেছি।
তোমার রৌদ্রগন্ধা প্রচ্ছদপট দেখেই
আমার উষ্ণ ভাবনাগুলো উড়াল দিয়েছে দেয়াল টপকিয়ে বিশাল আকাশের ক্যানভাসে।
দুস্তর পথ আর
আঁকাবাঁকা পথে হাঁটা অনেক শিখিয়েছো তুমি।
হাঁটতে হাঁটতেই শিখেছি
পথ, রঙ, রেখা, রূপ, রোদ-আভা’র পঙ্ ক্তিমালা
তার অক্ষরের নির্যাস!
আমার হৃদয় আলোস্নাত হয়েছে এর ছায়াপথে।
তুমি শিখিয়েছো রঙবৈচিত্র্যের অনেক
কিন্তু যে চিঠি থেকে বেরোয় আলোর ফোয়ারা, প্রেমের আগ্নেয় শিখা
তার জ্যামিতিক ক্যানভাস আর তার ভাবনায় গড়ে ওঠা
গ্রাফের রঙে বর্ণের ক্রমে লেখা যে চিঠি তার পাঠোদ্ধার শিখালে না হে বালিকা!
সময় গড়িয়ে যায়, শাপলাবিলের পাড়ে পড়ে থাকে ত্রিশ তারিখের চিঠি
তার নীল খাম
নব সময়ের অপেক্ষায়…।