মূল কবিতার নাম – ( ফায়ারসাইড স্টোরি) কবি পরিচিতি।
ভিনি হোমগ্রেন অস্ট্রেলিয়ার একজন বিখ্যাত কবি। তিনি নিজে তাঁর পঞ্চাশ বছর বয়সের পরে লিখতে আরম্ভ করেন। প্রতিবাদী ও পরিবেশবাদী এই কবি ২০০৬ সালে এসেছিলেন কলকাতায়। আমার সৌভাগ্য যে তাঁর সাথে কয়েকটা দিন অনেকটা করে সময় কাটাতে পেরেছিলাম। তখনই তাঁর আশির ওপর বয়স। ইহুদী বংশোদ্ভূত এই অপরাজিতা তিরানব্বই বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান। তাঁর বাবার পরিবারের সব পুরুষ সদস্যরাই কুখ্যাত হলোকাস্টের শিকার। ভিনি সম্বন্ধে এত কথা বলা যায় যে এই পরিসরে সেটা সম্ভব নয়। শুধু প্রতিবাদী ও পরিবেশবাদী বলে কিছুই বলা হলনা। আগ্রহীরা ঠিক খু্ঁজে নেবেন তাঁর কর্ম কান্ড কতটা বিস্তৃত ছিল। মানুষ ভিনি ছিলেন আমার কাছে এক ‘মাদার ফিগার’।
আগুনের ধারে শোনা গল্প
ভিনি হোমগ্রেন
ভাষান্তর : ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না
আমাদের মা বলতেন
আমাদের বাবা কখনো স্কুলে যান নি
আর নিজে নিজেই লেখা পড়া শিখেছিলেন
বাবার কাছ থেকে কিন্তু খুব কমই জেনেছি
কেমন ছিল তাঁর জীবন।
তিনি যে পড়তে পারতেন আমরা জানতাম
কেন না আমাদের কপালে দু:খ ছিল
যদি না সন্ধেবেলা তাঁর কাজের শেষে
সংবাদপত্রটি হাতের কাছে রাখা থাকত।
হ্যাঁ, তবে লেখার ব্যাপারে তার উৎসাহ ছিল না
এবং প্রায়শই তিনি অন্য কাউকে বলতেন
লেখার কাজটা করতে, কিন্তু মা আমাদের দেখিয়েছিলেন
হলুদ হয়ে যাওয়া কাগজে অসম্ভব সুন্দর ভাষায়
তাঁর লেখা সেই সব প্রণয় মধুর দিনের স্মৃতি
প্রেমের চিঠি গুলি। হাতের লেখাটা
যে অবশ্যই তাঁরই
তাতে কোন সন্দেহই নেই।
এ সবই এত সুদূর অতীতের
এখন কেউই বেঁচে নেই আর
যাদের সাথে আমরা এসব নিয়ে কথাবার্তা বলতে পারি।
(ছবিতে বাঁদিক থেকে ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না, অস্ট্রেলিয়ান কবি ভিনি হোমগ্রেন ও লিজ মার্ফি।)
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ইন্দ্রানী দি
খুব ভালো অনুবাদ হয়েছে। অভিনন্দন কবি কে।
ভালো লাগলো।