কবিতাঃ বন্ধুত্ব – শুভ্রকান্তি মজুমদার

বন্ধুত্ব


বন্ধুত্ব
শুভ্রকান্তি মজুমদার


নদীর জন্য যে কবিতাটা পাহাড় লিখেছে,
যখনই সে সেই কবিতা নদীকে শোনাতে যায়।
নদী ক্রমে দূরে সরে যায়,
পাহাড় তার স্থান বদলাতে পারেনা।

আসলে নদী এক নারী,পাহাড় এক পুরুষ!
দুজনে মিলে এক জোড়া মানুষ।
এক নারী এক পুরুষ।
কেউ কাউকে জানেনা, কেউ কাউকে চেনেনা।
তারা কেউ কাউকে এখনো দ‍্যাখেনি।
কফি হাউসে দেখা হওয়া তো দূর!
তারা কোনো দিন একসাথে অন্য কোনো
রেস্তোরাঁয় এক কাপ চা বা কফি পান করেনি।
কেউ কারো সম্পর্কে বিশেষ জানেও না।
তবু তারা পরস্পরের কাছে আসে,মাঝে সাঝে
কদাচিৎ কথা বলে পরস্পর। গতানুগতিক কথা
হলেও যেন পরস্পরের প্রতি ঝরে পরে, অনুযোগ
থেকে অনুরাগ।ব‍্যথা, বেদনা, জীবনের একঘেয়েমি
মূহুর্তে দূরে সরে যায়। আনন্দে উদ্বেল হয় কিছুটা
সময়। সুখের রেশ রয়ে যায় কিছু দিন।
নারী তখন নদী হয়। আবার কিছু দূরে সরে যায়!
আর পাহাড়ও তার স্থান বদল করতে পারেনা।

নদী মনে মনে ভাবে কোথাও একটা একটা পাহাড় চূড়া তার আরোহণের জন্য স্থির নিদৃষ্ট।
পাহাড়ও মনে ভাবে একটা নদী তার অবগাহনের
জন্যও স্থির নিদৃষ্ট কোথাও না কোথাও।

3 thoughts on “কবিতাঃ বন্ধুত্ব – শুভ্রকান্তি মজুমদার

  1. Apurbo, lekha. Ichhey korey aami sei pahar hoye, athoba paharer booker theky thikrey beriye jaoa pathor hoye, nodir rasta aatkey bosey jai. Nodita aamar book chirey boye jaak. ……..🙏🙏🙏

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *