দধীচি ফোড়নে
বিশ্বজিৎ বাউনা
তুমি চিরদিন সেই আগুনের সরোবর, প্রিয় মৃত্যু হরিণী।
আমি সামান্য স্খলিত পাতার আঁখি নিয়ে ডুবে যাই পুড়ে,
অর্জিত ছাই আমাকে উর্বর মুগ্ধতায় কোমাচ্ছন্ন করে।
দুদিকে ঘাড়ের ব্যবধানে অতৃপ্তির মালায় গেঁথে দেয় শোক,
সাপের ভাঙা ডিমের তলানিতে হিসহিস মাটির প্রেত
পাখি যজ্ঞের আহ্বানে কানে আসে, বৈকুণ্ঠের কথা ভাবি
দারুন এক সংক্রমণের দিন ছিল পাঁজরে হেলেদুলে
ঠোঁটের ভিতর নেশাখোর রোদের লাবণ্যে রমণীয় ক্ষণ,
আজ কোথায় সেই লাবণ্যের ঈশ্বরী? ফুলের বাৎস্যায়ন!
সুদীর্ঘ অক্ষরের মন্বন্তর নিয়ে মাকাল উপগ্রহে ভাসি–
সেই বাষ্পীয় পরিতাপে উড়তে উড়তে ঠিক নেমে আসি
দাউদাউ পান্থশালায় উৎকৃষ্ট দহনের ক্ষুধাতুর গর্ভে
এসেছি জৈবনিক, আমাকে নাও অতৃপ্তির দধীচি ফোড়নে।