বাংলার চলতি শতাব্দী এখন একত্রিশ বছরের যৌবনে পদার্পণ করেছে। বাংলাও বদলে যাচ্ছে দিনে দিনে। অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কৃতি, রীতি, জীবন ধারণের ধরণকে আত্মস্থ করেছে বাঙালি। এমন ভাবে মিলেমিশে গেছে, এখনই অথবা আরো কবছর পর আরও বেশি করে কেউ আলাদা করতে পারবে না, আসলেই কোনটা বাঙালির নিজস্বতা আর কোনটাই বা অন্য সংস্কৃতি থেকে ধার করা। ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতেও কিছু পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী এসেছে। তাতে জীবন সহজ ও সুবিধাজনক যে হয়েছে তা অস্বীকারেরও কোন জায়গা নেই। সামাজিক বিবর্তন সমাজের জটিলতা কখনো কখনো বাড়িয়ে তোলে। তবে বেশিরভাগ সামাজিক বিবর্তন হয় জটিলতা কমানোর জন্যেই। সমাজ পরিবর্তনশীল। আপন নিয়মে বদলাবেই।
বাঙালিও বদলেছে। তবু বছর ঘুরে নববর্ষ আসে, সৌখিন বাঙালি এইদিন নিজের সংস্কৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করে। সাজ সজ্জায়, খাবারে, কথায়, গানে, কবিতায় সেদিন বাঙালিয়ানার সমাদর। কিন্তু, যাঁরা বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন তাঁদের কাছে বাংলা ভাষার সমাদর কিন্তু সব সময়।
আজ প্রকাশিত হল বৈশাখ ১৪৩১ এর সংখ্যা, ‘বাংলার মুখ’। প্রকাশিত বেশিরভাগ সাহিত্য রচনার বিষয় বাংলা। প্রতিবারের মতো এই সংখ্যাও পাঠক প্রিয় হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। ভালোবেসে লিখুন, ভালোবেসে পড়ুন। নমস্কার।
চমৎকার সম্পাদকীয়।