হেমন্তের ক্রোড়পত্র
সুব্রত পন্ডিত
ক্রমশ আলো নরম হয়ে আসে
দ্রুত সন্ধ্যা নামে তুলসীতলায় ।
মা চলে যাবার পরে এখন আর কেউ
ফেরার কথা বলে না ।
মাঠ ভর্তি ধান হলুদ বেনারসিতে সেজেছে
বাঁশির মতো শিস্ দিচ্ছে বাতাস
নিঝুম সন্ধ্যায় পাখিরা ফেরে বাসায়
আমার ফেরা হয় না।
নক্ষত্র বিছানো পথে ঘুরিফিরি
একলা বাউল…
কখনো অশরীরী ছায়ারা আঁচলের মতো
এঁকেবেঁকে উড়ে উড়ে চলে যায়
এমনতো হয় মোরগ- ডাকা ভোরে
ঘুম থেকে ওঠায় মা
হোসেন চাচার খেজুররস এসে যায় দরজায়
শিশিরে ভিজে গেছে পথ
যেন মায়ের চোখের জল ঝরেছে সারারাত
আলপথ ধরে এগিয়ে গেলে নদী
নদী যেন মায়ের চোখের জল
বহন করে চলেছে অনির্দেশে…
হেমন্তের রাত্রি নামে
মনে হয় মা তখনও স্বপ্ন দেখছে ,
দিনবদল হবে , ঘরে ফিরবে তার সন্তান