সময় ও সমাজের সফল রূপকার গজেন্দ্রকুমার মিত্র — (১৯০৮ – ১৯৯৪)
পলাশ দাস
সাহিত্য ও সমাজের আন্তঃসম্পর্কের বিষয়ে নানা সময়ে নানা বক্তৃতায় বিভূতিভূষণ বলেছিলেন – সাহিত্য সমাজের মাপকাঠি। সমাজের বাস্তব পটভূমিতে যে রসশিল্প রচিত হয়, শিল্প – মানসের প্রকাশভূমি যাহা, তাহাই সাহিত্য। সাহিত্য রচনায় ব্রতী থাকার জন্য বিভূতিভূষণ নিজের পছন্দ মতো জায়গা বেছে নিয়েছিলেন প্রকৃতির রাজ্যে। কিন্তু কলকাতায় তাঁকে আসতেই হতো নানা কাজে। তিনি যখন আসতেন, তখন বেশিরভাগ সময়ে উঠতেন কলকাতার উপকণ্ঠে ঢাকুরিয়া বেনী ব্যানার্জি অ্যাভিনিউয়ে। এখানেই জমে উঠত তাঁর কলকাতার আসর। কলকাতা যাপনের দিনগুলি এখানেই নিভৃতে কাটাতেন বিভূতিভূষণ। অবশ্য এখানে থাকার অন্য একটি কারণও আছে বলে মনে করা হয়, যেটি একেবারে উড়িয়ে দেওয়াও যায় না। বস্তুত, এই ঠিকানায় থাকতেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সম্পাদক গজেন্দ্রকুমার মিত্র। এই সময়পর্বে প্রকাশক লেখক হিসাবে বেশ নাম করেছেন গজেন্দ্রকুমার মিত্র। লিখে ফেলেছেন বেশ কিছু সাড়া জাগানো উপন্যাস। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘মিত্র অ্যান্ড ঘোষ’ প্রকাশনী থেকেই তখন প্রকাশ হচ্ছে বিভূতিভূষণের লেখা বইগুলি। তাঁদের মধ্যেও ছিল প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। সেই বিবেচনা থেকেও তিনি হয়তো কলকাতা আসলে এই ঠিকানায় থেকে যেতেন। গজেন্দ্রকুমারের বাড়িতে তখন বসত নামজাদা সাহিত্যিকদের নিয়ে সাহিত্য আড্ডা। সেখানে কে না থাকতেন, প্রবোধকুমার সান্যাল, আশাপূর্ণা দেবী, প্রমথনাথ বিশী, সজনীকান্ত দাশ, বাণী রায় প্রমুখ।
গজেন্দ্রকুমার মিত্র ১৯০৮ সালের ১১ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে পড়াশোনা শুরু করেন কাশীর এংলো – বেঙ্গলী স্কুলে। পরবর্তীতে ১৯২২ সাল নাগাদ চলে আসেন কলকাতায়। কলকাতায় এসে ঢাকুরিয়া অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। ভর্তি হন কলকাতার বালিগঞ্জের জগবন্ধু ইনিস্টিটিউশনে। স্কুলের পড়া শেষ করে তিনি ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। বাল্যকালে বাবাকে হারানোর ফলে পারিবারে আর্থিক সমস্যা লেগেই ছিল আর সেইজন্যই পড়াশোনা থামিয়ে বই বিক্রির পেশায় যুক্ত হন। এই সময়েই বন্ধু হিসাবে পেয়ে যান বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুমথনাথ ঘোষকে। পরবর্তীতে তাঁর সাথে মিলে গড়ে তোলেন ‘মিত্র অ্যান্ড ঘোষ’ প্রকাশনী ১৯৩৬ সাল নাগাদ। পাশাপাশি গড়ে তোলেন ‘কথাসাহিত্য’ নামক মাসিক পত্রিকা। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি বই বিক্রির কাজে যুক্ত ছিলেন। লেখালেখির সূত্রে পেয়েছেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (‘কলকাতার কাছেই’ উপন্যাসের জন্য) ১৯৫৯ সালে। পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার (‘পৌষ ফাগুনের পালা’ উপন্যাসের জন্য) ১৯৬৪ সালে। ১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি প্রয়াত হন।
বিভূতিভূষণ বলতেন, সাহিত্য ও আর্টের মস্ত বড় কাজ সমসাময়িক সমস্যার উল্লেখ করা, সমাজ সচেতন হওয়া। গজেন্দ্রকুমারের লেখাগুলোই তাঁর সঠিক পরিচয় বহন করে। লেখার মধ্যে দিয়েই লেখকের প্রকাশ। তাই নিজের জীবন থেকে অর্জিত নানাবিধ অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করেই, মধ্যবিত্ত মানুষের দুঃখ – দুর্দশা, সুখ – আনন্দকে খুব কাছ থেকে উপলদ্ধি করে তার নিখুঁত রূপদান করেছেন সাহিত্যের ক্যানভাসে কথাসাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস ‘কলকাতার কাছেই’, ‘উপকণ্ঠে’, ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, ‘রাত্রির তপস্যা’, ‘নারী ও নিয়তি’, ‘সোহাগপুরা’, ‘পাঞ্চজন্য’, ‘চির সীমন্তিনী’, ‘রাই জাগো রাই জাগো’, ‘তবু মনে রেখো’, ‘প্রভাত সূর্য’, ‘আদি আছে অন্ত নেই’ প্রভৃতি। তাঁর লেখা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হল, ‘কৌতুক ও কৌতূহল’, ‘অন্তহীন যাত্রা’, ‘চাকর’, ‘এপার ও ওপার’, ‘সাধু ও সাধক’, ‘বিগত যৌবন’, ‘হাসির গান’, ‘জামাই চাই’, ‘দ্বিতীয় পক্ষ’, ‘আদিম’ প্রভৃতি। গজেন্দ্রকুমারের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মনে ছিল আশা’ ও গল্প ‘স্ত্রিয়াশ্চরিত্রম’।
‘কলকাতার কাছে’, ‘উপকণ্ঠে’, ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ এই ত্রয়ী উপন্যাস গজেন্দ্রকুমারের অসাধারণ সৃষ্টি। বাংলা সাহিত্যেরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলা যায় এই ত্রয়ী উপন্যাসকে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে বিংশ শতাব্দীর শুরু এই পটভূমিকায় রচিত উপন্যাসে তিন পুরুষের দুঃখ, বেদনা, হতাশার শ্রীহীন রূপ ফুটে উঠেছে বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে। শ্যামা, নরেন, মহাশ্বেতা, ঐন্দ্রিলা, প্রমীলা, দুর্গাদাস, ক্ষীরোদ, মঙ্গলা, রাসমণি, অজয়পদ প্রভৃতি চরিত্রের মাধ্যমে। কিন্তু উপন্যাসের শেষে কোথাও কখনও চরিত্রগুলি হারিয়ে যায়নি। কুলীন ব্রাক্ষ্মণ ঘরের বিধবা পত্নী রাসমণি ও তাঁর তিন কন্যার জীবন নিয়ে এই কাহিনির শুরু। যদিও শ্যামাকে কেন্দ্র করেই কাহিনি আবর্তিত হয়েছে, তবুও রাসমণির তিনকন্যার ক্রমবর্ধমান পরিবারের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। দারিদ্র ক্লিষ্ট মধ্যবিত্ত মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থ, আশা – আকাঙ্ক্ষা, সুখ – দুঃখের মধ্যে দিয়ে জীবন যুদ্ধকে কালজয়ী করেছেন লেখক অসাধারণ নৈপুণ্যে। প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাঙালী জীবনে সত্যকার জটিল দ্বন্দ্ব – সংঘাত উহার গার্হস্থ্যপরিবেশসম্ভব। উহার জন্য চমকপ্রদ বহির্ঘটনার মধ্যবর্তিতা বিশেষ প্রয়োজন হয় না। … উপন্যাসে এইরূপ মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার অনেক চমৎকার দৃষ্টান্ত মিলে। … বাঙালীর গার্হস্থ্য জীবন আধুনিক যুগের প্রান্তদেশে পৌঁছিয়া ভাঙ্গিয়া খান খান হইবার পূর্বে উহার অন্তর্জীর্ণতার মধ্যে এক কালজয়ী ভাবসম্পদ রাখিয়া গিয়াছে। ‘কলকাতার কাছেই’ উপন্যাসের শুরুতে যদি চোখ রাখা যায় তাহলেই বোধগম্য হবে ভাষার সারল্য আর আকর্ষণ। ‘কলকাতার কাছেই – খুব কাছেই। শহরের এত কাছে যে এমন দেশ আছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। অথচ হাওড়া থেকে বি.এন.আর –এর গাড়িতে চাপলে আট ন মাইলের বেশী নয়। বার-দুই বদল করতে যদি রাজী থাকেন ত বাসেও যেতে পারেন – অবশ্য বর্ষাকাল বাদ দিয়ে, কারণ সে রাস্তা বর্ষায় অগম্য হয়ে ওঠে।’ আবার ‘উপকণ্ঠে’ উপন্যাসে দেখা যায় গভীর এক অনুভূতিকে রূপদান করছেন কী সহজ সরল ভাষায় – ‘মহাশ্বেতা দীর্ঘরাত্রি পর্যন্ত ঘুমোতে পারে না। ওর সন্তান হবে, ও হবে মা – এ কথাটা এত দিন যেন কল্পনাই করে নি।’ আবার ‘পৌষ ফাগুনের পালা’-য় চমৎকার ভাষার আকর্ষণ, বর্ণনার ঘনঘটা – ‘এরা থাকে নানান জায়গায়। বহুদূর – চল্লিশ-পঞ্চাশ মাইল কিংবা আরও দূরে থাকে কেউ কেউ। দূরবর্তী স্টেশন থেকেও হয়ত দু-তিন মাইল তফাতের ঝিঁ ঝিঁ-ডাকা, জোনাকি-জ্বলা জনবিরল নিভৃত গ্রাম সে-সব।’
গজেন্দ্রকুমার মিত্র যখন পৌরাণিক কাহিনিকে অবলম্বন করে উপন্যাস লিখতে শুরু করেছেন, তখন বাংলা সাহিত্যে তেমন উপন্যাস হাতে গোনা। সেদিক থেকে দেখলে তাঁর কৃতিত্ব অস্বীকার করার নয়। ‘পাঞ্চজন্য’ উপন্যাসের ভূমিকায় লিখেছিলেন ‘এটি উপন্যাস মাত্র। জীবনী নয়।’ এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু নেওয়া হয়েছিল ব্যাসদেবের মহাভারত থেকে। উপন্যাস জুড়ে লেখক নিজের উপলদ্ধি ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করেছেন মহাভারতের কাহিনিকে। এই উপন্যাসে শ্রীকৃষ্ণ শুধুমাত্র অলৌকিক দেবতা নন, তিনি কৌশলী, কূটবিদ্ধিসম্পন্ন, দূরদর্শী ব্যক্তি যাঁর মধ্যে দোষ গুণ উভয়ই আছে। বলদেব ও বাসুদেব দুই ভাইয়ের সম্পর্কও লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অঙ্কন করেছেন। এই উপন্যাসের শুরু পাঞ্চালীর স্বয়ম্বর সভার মধ্যে দিয়ে, পাঞ্চালী ছাড়া অন্যান্য নারী চরিত্ররাও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। রোহিনী, সত্যভামা, রুক্মিনী, ভানুমতী সকলেই রক্ত মাংসের নারী চরিত্র। ‘চির সীমান্তিনী’ উপন্যাসের ভুমিকায় লিখেছিলেন – এ উপন্যাস কল্পিত উপন্যাস। রামায়ণের অনুসরণ নয়। এই উপন্যাসের চরিত্র বালী, সুগ্রীব, রুমা-কে নিষ্ঠার সঙ্গে গজেন্দ্রকুমার মিত্র অঙ্কন করেছেন।
‘জ্যোতিষী’ উপন্যাসটিতে খুব দক্ষতার সাথে মনোবিশ্লেষণের জায়গাটি অঙ্কন করেছেন গজেন্দ্রকুমার। এখানে এক জ্যোতিষী যুবক নিজের হাত দেখে ধারণা করেছিল তাঁর হস্তরেখায় আছে স্ত্রী কুলত্যাগিনী হবে, সেইজন্য শে বহুদিন বিবাহ করেনি, অবশেষে একদিন সুন্দরী সুলক্ষণা নারীকে সে বিবাহ করে। কিন্তু তাঁর মনের ভিতর থেকে যাওয়া কথাগুলো তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দেয় না। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে অবশেষে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। ‘রাত্রির তপস্যা’ উপন্যাসটিকে একটি পরিণত উপন্যাস বলা যেতে পারে। যেখানে দরিদ্র আদর্শবাদী ভূপেন্দ্র শিক্ষকজীবনে প্রবেশ করে দেখে সেই পেশার চূড়ান্ত অধঃপতন। আদর্শ আর বাস্তবের সংঘাতে ভূপেন্দ্র কোনোদিন আপোস করেনি। ‘বজ্রে বাজে বাঁশী’ উপন্যাসটি নকশাল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রচিত। বৃন্দাবনের সম্ভ্রান্ত বাঙালি বৈষ্ণব পরিবারকে নিয়ে রচিত ‘রাই জাগো রাই জাগো’ উপন্যাসটি। এই উপন্যাসের হাত ধরে পাঠক অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারেন বৃন্দাবনের গলিপথে। ‘প্রভাত সূর্য’ উপন্যাসটি লেখকের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি বলা যেতে পারে। যতীন, ইন্দ্রাণী ও রমানাথকে নিয়ে গজেন্দ্রকুমারের অসাধারণ সৃষ্টি।
ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় গজেন্দ্রকুমার বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। ‘বহ্নিবন্যা’, ‘দহন ও দীপ্তি’, ‘সোহাগপুরা’ প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই পর্যায়ের বিশেষ উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ‘বহ্নিবন্যা’ সিপাহি বিদ্রোহের কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছিল। তাঁর ঐতিহাসিক কাহিনিগুলিতে নারীদের প্রাধান্য বেশি লক্ষ্য করা যায়। ছোটগল্প রচনাতেও তিনি বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। খুব সহজ সরল ভাষায় গল্পের কাহিনি পরিবেশন করেছেন পাঠককে। ‘জরা ও বাসুদেব’ মহাভারতের কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে। সিপাহি বিদ্রোহের কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে ‘প্রাণের মূল্য’ নামক গল্পটি। এছাড়া, তাঁর রচিত ভূতের গল্প, অলৌকিক গল্প পাঠকের মন কাড়ে। ছোটোদের জন্য ‘রামায়ণ’ ও আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আদি আছে অন্ত নেই’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। লিখেছেন ‘বিধিলিপি’ নামক নাটকও।
সুদীর্ঘ ষাট বছরেরও অধিক সময় জুড়ে সাহিত্য রচনায় ব্রতী ছিলেন গজেন্দ্রকুমার মিত্র। আর এই দীর্ঘ সময় পর্বে তিনি লিখেছেন হাজার খানেক ছোটগল্প, পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস। তাঁর বিরাট ও ব্যাপক এই বিচরণ ক্ষেত্রে উপন্যাস, গল্পের প্রায় সব ধারাকেই ছুঁয়ে গেছেন নিজস্ব দক্ষতায়। কালকে কখনও অস্বীকার করেননি গজেন্দ্রকুমার সাহিত্য রচনায়। তাই, আজও সেসব রচনা স্মরণীয় হয়ে আছে পাঠকের মনে। একান্ত নিভৃতে আজও মানবের জীবনপ্রবাহে বয়ে চলেছে পৌষ ফাগুনের পালার সুর।
তথ্যসূত্র –
১. বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ২. সাহিত্যিক ও প্রকাশক গজেন্দ্রকুমার মিত্র – শঙ্কর ঘোষ (কলকাতা পুরশ্রী নভেম্বর ২০১০)। ৩. উইকিপিডিয়া। ৪. গজেন্দ্রকুমার মিত্র রচনাবলী। ৫. লেখকের তীর্থযাত্রা – সাইফুর রহমান, যুগান্তর ২৩.০৬.২০২০। ৬. ফ্যাসিবাদ, শিল্পীর দায় ও বিভূতিভূষণ – অশোক চট্টোপাধ্যায় (সাংস্কৃতিক সমসময় ত্রৈমাসিক, অক্টোবর ২০২২)।