মাননীয় রব
তৌফিক জহুর
কোটি বছরের রহস্য চারপাশ, দৃশ্য- অদৃশ্যের তুমি
অদৃশ্যেই স্বপ্ন বৃক্ষের চারা রোপণ করি আমি
স্তরে স্তরে নির্মাণ এই আকাশ শুধু ‘কুন’ শব্দে সাজানো সুশোভিত কোটি-কোটি প্রদীপমালায়
পাহাড় পেরেক হয়ে থামিয়ে দেয় পৃথিবীর দুলুনি
নরকের রক্ষীরা সদাজাগ্রত ও ভীতিকর
স্বর্গের আমন্ত্রণপত্র ডাকবাবু নিয়ে হাজির দুয়ারে
ফিকিরে দুনিয়া ইমারত সৌন্দর্যে কাতর হৃদয়
দৃষ্টির দেয়াল টপকে পার হয়ে যায় কত বসন্ত
ভূমি ধ্বসে, পানির স্তর নিম্নগামী করে মেরে দিওনা
পাপকর্মীর অন্ধ সিজদাহ্ কবুল করো
অবাধ্য এ বান্দা জৌলুস সমুদ্রে সাঁতার কেটেও
চোখ ও শ্রবণের দান অস্বীকার করেনি
শ্রাবণের ঘনবৃষ্টি মোষের মতো নেমে এলে শুরু হয়
দিনেই রাতের আঁধার, বজ্রপাত আওয়াজ আতংকে
রুহ বেরিয়ে যেতে চায় দেহ থেকে
ঝড়ের তান্ডবে উড়ে যায় শতবর্ষী বৃক্ষের ছায়া
গ্রীষ্মের উষ্ণতার আলিঙ্গনে পথভোলা পথিকের
পানি শূন্যতায় বুক কাঁপে থরোথরো
তখনো জিহবায় জিকিরে তোমারই নাম
রাত্রিতে বিক্রি হওয়া শরীর প্রভাতের আলো মেখে
কলতলায় পাপ ধুয়ে স্মরণ করে তোমারই নাম
কবুল বলে যে মেয়েটি কুমারিত্ব নিয়ে হাজির বাসরে
সেও তোমাকেই স্মরণ করে রীতির ঝাড়বাতিতে
একমুঠো আলোর সঙ্গে একগ্লাস সারাবান তহুরা দিও
আত্মাকে সবুজ রুমালে নিও তোমার দরবারে
খুব ভাল লাগল।