তিনটি কবিতা
স্বপন ভট্টাচার্য
ভোর
পাথর থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল
সেই জলে যার শান্তিস্বস্ত্যয়ন
নৌকো তার বাঁধা রইলো ঘাটে
শিরায় শিরায় রক্তকণ্ডূয়ন ।
#
বার্তা থেকেই ছবির সূত্রপাত
আধার বলেই ছলকে পড়ে মদ্য
মুষ্টি, তাই পিষ্ট কঠিন স্তন
বর্ণমালা শৃঙ্গারে অচ্ছেদ্য।
#
কথা, তাই জড়িয়ে যায় ঠোঁট
কপাল, তাই ফুঁড়ে বেরোয় গুলি
ট্রিগার, তাই জানে মানুষ হ্যাপি
বুলেট মানে তিনবার হাততালি।
#
মূর্খ, তাই উল্টোপথে চলা
গাধা, তাই নদীর খোঁজে আজ
তৃষ্ণা, তাই সামান্য গোষ্পদে
ঠোকর খেয়ে ঠিকরে উঠলো বাজ।
#
হাত, সুতরাং নাগালে অর্গ্যান,
মীড়-মেজরাফ তর্জনীপ্রহরে
বাঘ বলেই না মধ্যরাত্রে হানা
রক্তে রক্ত, নখর নখরে।
#
পাথর থেকে চুঁইয়ে নামছে জল
রোমকূপে তাই পাহাড়প্রমান জ্বর
দ্বিপ্রহরের গল্প সবার জানা
আমার আগুন উসকে দিচ্ছে ভোর।
বৃষ্টির পরে
বৃষ্টির পরে
চাঁদও ঈষৎ মলিন
কাদা মেখে দাঁড়িয়েছে ঘুরে। বৃষ্টির পরে।
#
খুলেছি পোষাক
ফাটা বেলুনের মত, অহংকার
পড়ে আছে মেঝেতে বেবাক। পূর্ব অথবা প্রাক।
#
প্রাচীন শরীর
অনৃতভাষার ধ্বনি
জলে ভেসে গেল মেঘমীড়। ঈষৎ অধীর।
#
আগুন চাইলে ভাবি
বাড়া ভাতে ঢেলে দিব
অপ্রাকৃত ছাই। মৌতাত বাড়াই।
#
পত্তনের দিন
দরজার গায়ে বারবার
টোকা দেয় ক্ষীণ। শোধ করে দিতে বলে ঋণ।
#
বৃষ্টির পরে
বেওয়ারিস নৌকোর মত প্রত্যাখ্যান
ঢুকে পড়ল ঘরে। আজ রাতে বৃষ্টির পরে।
মায়াবস্ত্র
বুকের উপরে রাখো ধূম্রপরিমান
আহরণ প্রথাসিদ্ধ অজিন আধান
বাহুকে প্রশম রাখো পীতবর্ণ পাতা
গলায় চন্দনলিপি সফল ক্যুদেতা।
#
অতএব তুলে ধর ক্রুশ অথবা কাঠ
কবজিতে ভাষা রাখো স্বরবর্নপাঠ
এবং অপরাপর আত্মপরিচিতি
রজনে সুসিদ্ধ হোক কলাকারুকৃতি।
অতঃপর দেহখানি বেহুলা ভেলায়
মজা স্রোতে চর জেগে যদি ফেঁসে যায়
শকুনি কুক্কুরী আদি ঋচীক রমণ
ঘ্রাণে পাকে স্পর্শে পাবে কথিত ত্বরণ
ররং উচ্ছ্রিত প্রাণে মায়াবস্ত্র রাখো
সেটুকু উন্মুক্ত থাক বাকি সব ঢাকো।
অপূর্ব এক পাঠ অভিজ্ঞতা হল।
আপনাকে ধন্যবাদ। আমার শুভেচ্ছা জানবেন