সম্পাদকীয়ঃ মন্দিরা গাঙ্গুলী

গত ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ শনিবার জীবনানন্দ সভাঘরে অবেক্ষণ এর যে অনুষ্ঠান হয়ে গেল তা নিয়েই কিছু কথা বলি। আমরা জীবনানন্দ সভাঘর পেয়েছিলাম অনুষ্ঠানের জন্য, সেখানে পঁচাত্তর জনের বসার আসন আছে, তার ওপর যে সময়-সীমা নির্ধারিত ছিল সেও পর্যাপ্ত নয়। ইচ্ছে থাকলেও তাই অবেক্ষণ পত্রিকার সমস্ত লেখক পাঠককে আমন্ত্রণ জানাতে পারিনি কারণ ডেকে এনে কাউকে উপযুক্ত সম্মান দিতে না পারলে খুব খারাপ হয়। পরবর্তী অনুষ্ঠানে আশাকরি সবাইকে বলতে পারব।
সেদিন যাঁরা উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেককে আরও একবার অবেক্ষণ পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। কবিতায় গানে গল্পে একটি মনে রাখার মতো আনন্দ সন্ধ্যা বহুদিন মনে থাকবে। বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, সাহিত্য অনুরাগী যাঁরা সেদিন উপস্থিত ছিলেন, মৌমিতা রাবেয়া, সোমা মুখোপাধ্যায়, কৌস্তুভ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, চন্দন আচার্য, কাজরী বসু, ধীমান ভট্টাচার্য, অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, স্বরূপ দাস, সৌমী চক্রবর্তী, সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীময়ী গুহ, পলাশ দাস, পৌলমী চক্রবর্তী, অনুপম দাশশর্মা, চয়ন ভৌমিক, কাজল রায়, নির্মাল্য বিশ্বাস, মৃণাল সরকার, শর্মিলা ঘোষ, প্রদীপ সাহা, দীপঙ্কর বাগচী, দিলীপ পাল, অনন্যা রায়, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস চক্রবর্তী, চন্দ্রাণী গোস্বামী, জয়া চৌধুরী, শংখ ভট্টাচার্য, সীমা ভট্টাচার্য, চিত্রাভানু সেনগুপ্ত, দেবযানী ভট্টাচার্য, মধুপর্ণা বসু, আব্দুল করিম, সঞ্জয় চ্যাটার্জী, স্বপ্না ভৌমিক, অরবিন্দ ঘোষ, অন্তরা রায়, রাজা গুহ, নমিতা মুখার্জি প্রমুখ। অবেক্ষণ পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলাম রাধাকৃষ্ণ গোস্বামী, ভূমিকা গোস্বামী, হিন্দোল গোস্বামী, প্রবীর গাঙ্গুলী, ঈশিতা গাঙ্গুলী, অনিরুদ্ধ সুব্রত এবং মন্দিরা গাঙ্গুলী। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মৌমিতা রাবেয়া এবং অনিরুদ্ধ সুব্রত। অনুষ্ঠান পরিচালনায় সমস্ত কাজে সঙ্গে ছিলেন সোমা মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে সঙ্গে ছিলেন নীহার মজুমদার।
শারদ সংখ্যা এবং অনুষ্ঠানের পর আবার প্রকাশিত হল পত্রিকার অগ্রহায়ণ সংখ্যা। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন স্মরণ করে এই সংখ্যা ‘ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা ১৪২৯’ নামে নামাঙ্কিত হল। যাঁদের লেখায় পত্রিকার পাতা সেজে উঠেছে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।
প্রসঙ্গত আরও একবার বলি, অবেক্ষণ পত্রিকায় লেখা পাঠালে মনোনয়নের পরই তা প্রকাশ হয়। লেখকের কাছে আমাদের একমাত্র দাবি উন্নত মানের সাহিত্য। নামী, অনামী লেখক নিয়ে আমাদের কোন বিশেষ দৃষ্টি থাকে না। লেখার মানই লেখকের পরিচয়। লেখা পাঠানোর পরই নিজে অথবা কাউকে দিয়ে খোঁজ নিয়ে, কবে প্রকাশিত হবে জানার প্রয়োজন নেই। মনোনীত হলে অবশ্যই প্রকাশিত হবে। সাধারণত প্রতি মাসে একটি করে পত্রিকার সংখ্যা প্রকাশিত হয়। লেখা পাঠানোর পর দুমাস অপেক্ষা করতে অনুরোধ থাকে। লেখার লিঙ্ক শেয়ার করে অন্যকে আপনার লেখা পড়াতে অনুরোধ করব। তবে লেখা প্রকাশের ছ’ মাসের মধ্যে লেখাটি অন্য কোন মাধ্যমে লিঙ্ক ছাড়া সরাসরি দেবেন না। যাঁরা পড়বেন পত্রিকার লিঙ্ক থেকেই পড়তে পারবেন।
সকলে ভালো থাকুন। ভালোবেসে পড়ুন ভালোবেসে লিখুন। নমস্কার।

2 thoughts on “সম্পাদকীয়ঃ মন্দিরা গাঙ্গুলী

  1. বাহ্…..দারুণ সম্পাদনা। খুব ভালো লাগলো…..এমন অনুষ্ঠানের জন্য আবারও অপেক্ষায় রইলাম…..অনেক শুভেচ্ছা অবেক্ষণ পত্রিকার জন্য….

  2. নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে আপনার প্রতিটি কাজের জন্য ও পত্রিকার জন্য রইলো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

Leave a Reply to Soma Mukherjee Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *