ইন্দ্রাণী দত্ত পান্নার কবিতা
আজি এ বসন্তে
আমার ত্বক ক্রমশ মন থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে।
ত্বক যা আঁচ করে মন তাকে কখনো শঠতা কখনো অনাবশ্যক ভয় ভাবে আর বিরুদ্ধ হাওয়া তুলে দেয়।
খানিকটা রৌদ্র আমি পত্রপুটে ঢেকে রাখি মন খুশি হয় আমার রেমান্টিকতায় আর ত্বক দগ্ধ হবার নিদারুণ কষ্ট স্মরণ করে।
দূরে কোথাও হারমোনিয়ামে রাগ বসন্ত্
মনে পড়ে পলাশের লাল আর টিলায় রাত্রিবাস
আমি আবার ভাবতে বসি ত্বকের কি মন নেই আর মনের ত্বক?
আমি মনকে সমর্থন করতে চাই সে ছাড়া কেই বা আছে আমার? তাই সমস্ত দগ্ধতার স্মৃতিকে মনকে স্মরণে রাখতে বলি।
ভালবাসা এমনইতো হয়
আমি তার কাঁধের ওপর দিয়ে দেখতে পাই লাল হলুদ পলাশের বন।
মন তখন বহু দূরের লম্বা টানা রাস্তায় একা একা হেঁটে যায়
কপালে গোলাপি ফাগ আঁচলে করবী
যদি চূড়ান্ত ভালবাসা হয় একাতীত্বই তখন দোসর
আর যদি নাই হয় তাহলেও হাতে থাকবে বসন্তের পঞ্চম সুর।
পাওয়া না পাওয়ার মাঝে সুক্ষ্ম তন্তুজাল বুনে চলবে অমূর্ত মাকড়।
পাহাড় টিলায় না কি টাউনের নির্জন স্টেশনে বসে থাকে দ্রিদিম দ্রিদিম ধ্বনি আর এক মহার্ঘ প্রেম নামের উদাস কিশোরী।
এই মাত্র মুঠো খুলে বসন্তে যা দগ্ধ হয়েছে সেই সব ছাই ভস্ম
উড়িয়ে দিয়েছি।
ভালবাসা কাছে এলে দৃষ্টি যায় দূরে বহু দূরে…