অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
আমার সন্তানকে যতই আমি নক্ষত্র-মণ্ডলী খুঁজতে বলি
কেবল গ্রহদের দিকে সে আঙুল দেখায় তুলে
শুক্র, বৃহস্পতি, মঙ্গল, নেপচুন, শনি
যখন আমি ছয় বা সাত, ভাসমান স্থির দৃষ্টি ছিলো জুড়ে
রাত্তিরের মাঝে জেগে উঠে দেখি উত্তর পুরুষ
খোলা মাঠের উপর শুয়ে, খোলা চোখ
অন্যদিকে বিস্তীর্ণ এক খোলা মাঠে শুয়ে আছে সব নক্ষত্রেরা
তাদের শীতল চোখ থেকে তীব্র ঝরে পড়ছে উল্কা
আমার পৃথিবী এক পৃথিবীর উপর চাপা পড়ে,
প্রবল মাধ্যাকর্ষণে কেন্দ্রে ধাবমান খণ্ডিত পূর্ব পুরুষ,
ধাবমান আমাদের অন্ধকার ঘর-বাড়ি, চাল চিত্রপট
আমাদের সন্তানরা স্থির অনন্তের দিকে চেয়ে।
এখন আশ্চর্য জ্ঞান, ঘৃণ্য কর্কশ কণ্ঠ, অন্ধকার আলোয়
মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে চাঁদ জুড়ে অন্ধকার
আর চাঁদের অন্ধকার জুড়ে আছে মাধ্যাকর্ষণ
তার চোখ দিয়ে আমি দেখি শত সহস্র নক্ষত্র
আমার আর পূর্ব পুরুষের দীর্ঘায়ত ছায়া সব অতীত
নক্ষত্র মণ্ডলীর উপর প্রকৃত প্রস্তাবে আছে।
#
আমাদের পূর্ব পুরুষ, উত্তর পুরুষেরা সব
কাঁদে নক্ষত্রের দিকে চেয়ে, অঙ্গুলি নির্দেশ করে
Awsome! what a splendid poetry.
Speachless! a poem of tranquil silence.
অনবদ্য কবিতা, অনেক বলা না বলার কবিতা
অনবদ্য! দাদা আপনার কবিতা আমার মনকে শান্ত করে।