কবিতাঃ হিরণ্যবেলার শৈলদিঘি – বোধিসত্ত্ব ( গৌতম নাথ) ( ত্রিপুরা)

হিরণ্যবেলার শৈলদিঘি
বোধিসত্ত্ব

এই সামান্য বুকের ব্রহ্মটা আঁকড়ে নিদারুণ
এক চৈত্রবেলার আনাগোনা।

বোশেখের বালিকাবধূ বিকেল যাবতীয় দূরত্বকে
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে কেমন যেন একটা
সর্বহারা শৈলদিঘি হয়ে গেছে।

কবেকার সেই অনামিকার সাজানো
মুঠো মুঠো উষ্ণতার শ্রীপরিধি জুড়ে
সমাপ্তির তুলিটা নিরন্তর ভাঙনের জনবসতি
আঁকতে মুহূর্তের গায়ে আঁচড় কাটে।

এমন‌ই প্রান্তিক বেলায় বেহায়া ইচ্ছেগুলোও
সাজে নটরাজ ,পড়ন্ত আকাশটাও
আসমুদ্র-হিমাচলের অন্তিম যাত্রী।

শেষমেষ কবে ডাকনামে ভেজা শ্লোকে
তোমাকে চিনেছিলাম তাও আজ নির্জনের স্বর্ণগঙ্গা।

সরল প্রহ্লাদের পরিধি ছাড়িয়ে জীবাশ্ম সুখে
প্রতিরাতে শরীর চেনা হয় আরেকটা তরুন খুশির অপেক্ষায়।

শতাব্দীর আনাচেকানাচে যদি এভাবেই অসমাপ্ত পথ চলি ,
যদি এভাবেই অজ্ঞাতবাসে তন্দ্রাবেলার আঁচলে ঘুমিয়ে পড়ি ,
তবে বেশিরভাগ জুড়ে নিরিবিলি নীল চরিত্রের আঁচে
তুমিও সহজিয়া বিকল বসন্ত হয়ে ঝরবে।

2 thoughts on “কবিতাঃ হিরণ্যবেলার শৈলদিঘি – বোধিসত্ত্ব ( গৌতম নাথ) ( ত্রিপুরা)

  1. খুব ভাল লাগ। কবিতা পাঠের আনন্দ পেলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *