রূপকথা
অনিন্দ্য গোস্বামী
নিদ্রাপুরীর রাজকন্যা লক্ষ্মীছাড়া ঘুমে-
বন্দী ছিল দৈত্য রাজার দুষ্টু কুমতলবে।
দৈত্য রাজা ঘুম পাড়াতো মূল্যায়নের ভুলে-
দামী কাঠি পায়ে ফেলে সস্তা মাথায় তুলে।
তেমনি করে ঘুমায় দেখ আস্ত পৃথিবী,
ভোগ আর ক্ষণিক সুখ হলো মুখ্য দাবী।
অবহেলায় মলিন হলো চিরসুন্দর ধরা।
আকাশ বাতাস তপ্ত হয়ে থামবে নদী ধারা,
ফসলদায়ি সমস্ত মাঠ সাগর খেয়ে নেবে,
এসব জেনেও মানুষ ঘুমায় রাজার কুমতলবে।
দৈত্য রাজা কোথায় থাকে, সাত সাগরের পারে?
থাকলেও বা প্রাণ লুকোনো কোন ভ্রমরের ঘরে?
আমি বলি, তোমার ভিতর সেই ভ্রমরের বাস,
তোমার সব আলসেমিতে নিচ্ছে সে নি:শ্বাস।
তোমার যত মিথ্যে আছে তাই দিয়ে তার পাখা।
তাতেই ওড়ে মাথার ভিতর দৈত্য রাজার সখা।
তোমার সব ঈর্ষে জ্বালা তার হুলেতে জমে,
শক্তি সে পায় ধৈর্যহানি এবং ক্রোধ কামে।
এতো কাছে থেকেও ভ্রমর লুকিয়ে আছে, কারণ-
অজ্ঞানতার কালি ঢেলে, কালো করেছো ভীষণ।
ভাবছো মনে, এতো কথা জানতে কিসে পারি?
আমায় এসে জানিয়ে গেলো ছোট্ট শুক ও সারি!
বাঃ। সেই ভ্রমর আমাদের ভিতরে, আমাদের আলসেমিতে , আমাদের ইচ্ছে বা মিথ্যে দিতে তৈরি ডানায় ভর দিয়ে উড়তে উড়তে উরে যায়, আবার থেকেও যায়। নট নড়ন চড়ন। ধন্যবাদ।
মিথ্যে দিয়ে।
উড়ে যায়।
মানুষের অকল্যাণের কারণ খুঁজে পেয়েছে কবি। সমাধানও দিয়ে দিয়েছে সুন্দর ছন্দে। অসাধারণ…..