পার্থ-পারমিতা– ৪
অনিরুদ্ধ সুব্রত
চলে গেছে অনেক গুলো মলাট-হীন বই-এর
মতো দুপুর, সারি সারি উদাস উড়ন্ত বিকেল,
কতগুলো ছোটো ছোটো সন্ধ্যের মৌন-মিছিল।
মানুষের সভ্যতায় অসুখের আগ্রাসনে
যেন মুখ ঢাকা সম্পর্কের মর্গে শুয়ে আছে
কতগুলো মুখর মুখোমুখি—
নিষিদ্ধ স্বপ্নের ধার দিয়ে জীবনের হাঁটাহাঁটি
তবুও থামেনি,
যন্ত্রণার গরল সমুদ্রে সাঁতারের ফাঁকে ফাঁকে
নাক তুলে শ্বাস খুঁজেছে প্রত্যেকে
কতগুলো অনুভব,স্বাদ,বোধ,কান্না,ছেদ-বিচ্ছেদ
তবুও যে সেই বন্দি মনের তরলে কিলবিল।
শেষ কথপোকথনের রেশ
আচ্ছন্ন শরতে এখনও রহস্য-মেঘ,
এক অতিক্রম করে দুই সপ্তাহান্ত পেরিয়ে যাচ্ছে…
ঔদাসীন্যের ধূ ধূ দু’পারে ধূসর শূন্যতায়
পারমিতা মেসেজ বক্স দেখেছে রোজ,
এক দুই তিন, অথবা আরও দ্রুত তারপর, অগণিত বার
তবু শুনশান সাদা সে ক্যানভাস—
যেমন থাকে কত সারি সারি— অপরিচিত,
তাহলে কি— বিগত, বিচ্ছিন্ন, অতীত বলে ধরে নেবে সে ?
‘ —না, কখনও না’,
কেঁপে ওঠে উচ্চারণের কন্ঠ।
পারমিতা অপেক্ষার আর অধৈর্যের দাগ
ফেলতে শুরু করে, ঘন্টা মিনিট মুহূর্ত।
বিপরীত মঞ্চে পার্থ কি অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ?
মফস্বলের স্বল্প আলো থেকে দেখছে—
ঘন বুনটের বাণিজ্যিক আর লৌকিক
ফ্যান্টাসি মাখা রাতের উপর দিয়ে উড়তে
থাকা মেঘের অন্ধকার ?
নাকি, নিকটবর্তী শীর্ণ নদী-চরে বৃষ্টি-জলের
বাড়বাড়ন্তে একটা নদী-প্রেমী
বানভাসির উদভ্রান্তি নিয়ে উচাটন ছুটে ছুটে
সময়ের প্রতি পলে মাপছে বন্দি-উঠোনের জল…
শেষ উক্তি-প্রত্যুক্তির পর পেরিয়ে যাচ্ছে দুইটি সপ্তাহ,
আলোর বিপরীতে টেনে নিয়ে আসছে রাত,
ঝাঁট দেওয়া ফর্সা মেসেজ কলামে
অদৃশ্য লিখছে পারমিতা— রাগ, অভিমান, রুঢ় অভিঘাত
অনায়াসে চলে যাচ্ছে হাত, স্মৃতি অথবা বিস্মৃতির থেকে
টেনে এনে হাজার আরক্ত আবেগ যেন আজ
পরীক্ষার খাতায় কোটেশনের মতো তুলে ধরে
পার্থকে অন্তত শেষ বারের জন্য বলা দরকার।
অথবা নষ্ট কমিটমেন্টের খোলস ফেটে বেরিয়ে আসা
এই দীর্ঘ স্তব্ধতা, উদাস কবিকে মুখোমুখি একবার
চরম জিজ্ঞাসা—
আবহ সত্যিই কি এতো দ্রুত
বদলে যায় মনের ?
তবে মনন কোথায় ? কী করছে পার্থ এই দুই সপ্তাহ ?
একটাও কবিতা লেখেনি ?
চরম অভিযোগ ভর্তি খণ্ড বাক্যের পঙক্তির দল
একবার ঝাঁপিয়ে পড়তে পারল না ?
যদি কষ্ট, তবে তা শব্দ ধ্বনিতে আছড়ে পড়েনি কেন !
কেন উপেক্ষার সুরের মতো নিঃশব্দ !
কেন তার কাছ থেকে কথা এলো না একটিও ?
তারপর সমস্ত মেঘের ক্ষোভ নিলো ঘন বৃষ্টির পথ,
অঝোর, পারমিতা অনেকক্ষণ—
হুড়মুড়িয়ে ভাঙলো বাঁধ— শীর্ণ নদীর,
সুদূরের কোন অজানা প্রান্তর থেকে হু হু মায়াময় বায়ু
যেন জড়িয়ে ন্যুইয়ে দিচ্ছে ঋজু অন্তর।
—- এই চতুর্দশ দিন, যদি চতুর্দশ বছরও হয়,
পারমিতা ঠিক এখানে,
সেই পুরনো খড়খড়ির জানলায়
ক্রমে গাঢ় হতে চলা সন্ধ্যের শহরকে
জ্বলে উঠতে দেখে— গ্রিলের ফাঁক দিয়ে
তাকাবে দূরে, অনেকটা না-দেখা দূরে
যেখানে তখন ঘরে ফেরা পাখির আকাশ
যেখানে দিগন্তে তাকালে মানুষের মনে
মায়া কেঁদে ওঠে,
সহজ মানুষের কাছে সহজ মানুষ এসে বসে।
—এতো দিনে একবারও মনে হলো না
তোমার, আমাকে ?
পার্থ, এতোগুলো রাত্রি নিঃশব্দে
কীভাবে পাড়ি দিলে ?
এতো লঘু ছিল— আশ্চর্য সেই অটুট উচ্চারণ,
কী থাকে মানুষের আর, যদি সহজেই
ভেঙে ছিন্ন করার এতো সাধ ?
আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে লিখতে লিখতে
তর্জনী কেঁপেছে বারবার,
কী বলা যায়— অসহ্য এই বিরতির পর,
অথবা কেন শুধু পারমিতাকে ই
সরে সরে যাওয়া পার্থকে টেনে আনতে হয় ?
কেন প্রত্যেকবার !
—- বড্ড ক্রোধী, ভাল্লাগে না, চরম চণ্ডাল,
অভিমান কেবল তারই পৈত্রিক সম্পদ ?
মনে করে কী সে নিজেকে অথবা
পারমিতাকে ফ্যালনা ভেবেছে সে ?
জীবনের মাঝ-দুপুরে !
কী চায় পার্থ ? কী চেয়েছে জানি না তো…
কিন্তু যে কী লেখা যায় এই পাথর ঘুমকে
ভাঙিয়ে দিতে,
আবার দিনের মতো দিন সুন্দর, রাতের মতো রাত
ফুলের মতো গন্ধ ঝরা— একটি সুখের হাত।
কোত্থেকে অন্ধকারে নিশাচর পেঁচার মতো
জানলা দিয়ে দেখা খোলা ছাদে
যেন এসে বসে, গোপন মনের
বিকট-শব্দ-পাখি—
অনবরত মাথা ঘুরিয়ে কেবল অজানা
সংকট সংকেত খুঁচিয়ে তুলে আনে,
পারমিতা কী লিখতে চেয়েছে, যেন
সে কথা সে সব ভুলে গেছে,
কিন্তু এতদিন পরে পার্থকে সে কি শুধু
রুঢ় করে বলবে ?
না, তেমন করে মন তাকে বলেনি—
একটা ছন্নছাড়া, পাগলাটে, উদভ্রান্ত, দুঃখী
যার একটানা দুঃখের গল্পে, অগণিত
ঘুম হারা রাত্রির কথা,
শিশুর মতো উল্লসিত আবেগে বারংবার
বিগলিত এক পারমিতা, মনে পড়ে সে কথা।
যার বিশ্বাসে একদিন ধ্বনিত হয়েছে
নিঃশ্বাসের শব্দ, যার থেকে উত্থিত একরাশ
বুকের মধ্যে জন্মানো লেখচিত্র এখনও কম্পিত,
অথবা যার হৃদয়ে মৃন্ময় পৃথিবীর এক পারমিতা,
কবিতার স্রোতস্বিনী হয়ে
মুখর করে তুলেছিল এক প্রাচীন রোগা নদীকে,
লিখবে কি সেই বিস্মৃত কথা ?
— না, এ সব নয়
সব সব মুছে দেবে পারমিতা।
আরও অন্য, অন্যকিছু, স্বতন্ত্র, উদাসী
ক্লিষ্টতা থেকে বেরিয়ে,
এক ছোট্ট ডিঙি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া
পথ হারা নাবিকের জন্য সবুজ প্রাণের
সন্ধানের মতো কিছু,
প্রথম শিহরণের মতো শব্দের গর্ভে
প্রত্যেক ধ্বনিতে বেজে ওঠা ঝুমঝুমির মতো,
পারমিতাও যে বদ্ধ পাগলিনী হয়ে আছে—
পার্থর চোখের সামনে ভেসে উঠুক
ক্যানভাসে এমন কিছু বর্ণ ধ্বনি সুর ছবি,
সে যে প্রাণের কবি,
কতগুলো শব্দ ব্রহ্ম-শক্তি নিয়ে যদি না
পৌঁছায়, পারমিতাকে সে যে অভিহিত
করেছে ‘কবিতার নদী’ ।
লেখে আর মোছে,
আত্ম-দ্বন্দ্বে যেন নিদারুণ পরাভূত হয়ে,
চতুর্দশ রাত্রি খুঁজে খুঁজে চলে —
হে প্রেম, তোমার ষোড়শোপচার
বিস্রস্ত পারমিতার বোধে আজ অভিন্ন
নৈবদ্য, প্রেমের অথবা পূজার অথবা মানব সম্পর্কের
হৃদয়ের এপার থেকে ওপারে
একান্ত ডিঙি নৌকো।
সেই সন্ধ্যের ঘিঞ্জি জনপদের মফস্বলের উপর
আকস্মিক এক পশলা বৃষ্টির পরতে ভেজা গন্ধ,
আকাশে তখনও ছেঁড়া মেঘের ঘুড়ি-মাঠে চলছে
ভোকাট্টা, ব্যর্থ স্বপ্নের পতপত থেমে গেছে যেন
অদৃশ্য ঘুড়িটা কোথায় কোন গাছের ডগায় ঝুলে
ছেঁড়া সুতো টেনে টেনে তাই বার্তা লিখতে বসেছে
অন্য এক পার্থ, মহাভারতে যার ছায়াটুকুও নেই..
এই চতুর্দশ দিন, দুই সপ্তাহ অতিক্রমের পথে—
পাথর পার্থ, ধীরে চুঁইয়ে নামছে জল ফাঁটলে,
উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ মুখে জমেছে ঘন কালো
তীব্র, তীক্ষ্ণ, বাণ-বিদ্ধ, পরাহত হয়ে
ক্রমে ক্রূর ক্রোধ আগুনে বুক গেছে পুড়ে…
—-প্রথম শব্দ— ‘ত্রিকোণ’
তীরের ধারালো ফলা হয়ে ভেদ করেছে,
পরিচিত যে সত্য, যে কৌণিক অবস্থানকে
আজ অবধি কখনও পার্থ তৃতীয় কোণ
মনেই করেনি, ভেবেছে একান্ত, সংশ্লিষ্ট—
দ্বিধায় মরেনি মর্ম এতটুকু,
পারমিতা তাকেই প্রবল প্রচণ্ড রূপে তুলে
এনে দাগিয়ে দেখালো ?
তবে তো পারমিতাই আজ দ্বিধান্বিত,
বারংবার তার চোখে সুস্পষ্ট ত্রিভুজ, ত্রিকোণ
পার্থ কি তবে সেই বিন্দু— যাকে মুছে দিতে
গভীর থেকে পারমিতা প্রস্তুত এখন ?
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শব্দ—
‘অবাস্তব’ ও ‘অসম্ভব’— যা দাবি করে
দ্বন্দ্বে দীর্ণ করেছে পার্থ, প্রিয় পারমিতাকে,
প্রতিদিন খণ্ড থেকে আরও আরও খণ্ডে
টুকরো থেকে আরও আরও টুকরোতে
বিস্তৃত বিরাট পাথর ভেঙে খানখান হয়েছে,
পার্থ এমন করে হাতড়ে মরেনি কখনও
এমন করে যোগ-বিয়োগের অঙ্কে
কেউ কখনও হারিয়ে দেয়নি প্রেমিক পার্থকে।
রিং করার জন্য তাকাতে ইচ্ছে হয় নি আর
পরিচিত ঐ দশ ভিজিটের দিকে,
অথচ অভ্যস্ত আঙুল কতবার পায়চারি
করেছে, দূরাভাষ যন্ত্রের জড়বৎ শরীরে…
—-কোথাও যেন এখনও একটা জবাবদিহি
আটকে আছে,
পারমিতা এভাবে প্রশ্ন রেখে উপসংহারে
যেতে পারে না,
পার্থ বিত্ত-হীন, নিভৃত, নিঃস্ব দৈনন্দিনকে
সাদরে নিয়ে একক শূন্য-গৃহ নির্মাণ করেছে
বৃত্তের বাইরে,
যেখানে পারমিতা রাস্তা পেরিয়ে, উঠোনে
উঠোন পেরিয়ে বারান্দায় উঠে বসেছে কত কাল,
হঠাৎ হৃদয়-মন্দির থেকে কেন এ স্খলন ?
কেন এই দ্বন্দ্ব-দীর্ণতা ?
পার্থকে আমাস্তুল উত্তাল সমুদ্র-সলীলে
ডুবিয়ে দিয়ে, নিঃশব্দে প্রত্যক্ষ করছে সে ?
—ভগ্ন, ধ্বস্ত, ক্ষুদ্র পার্থর ভিতর চৌচির হয়ে
রচেছে যে যন্ত্রণার গান— সেই কি শেষ বার ?
পারমিতা, তোমার পরম মমত্ব—
একদিন যার অসীম হৃদয় সমুদ্র উচ্ছ্বাসকে
উপেক্ষা ছিল— সবচেয়ে অবাস্তব,
আজ এতোগুলো দিন, তুমি— হ্যাঁ তুমি পারমিতা
কেন এমন চরম অর্বাচীন ?
নাকি সত্যিই মানুষের মনের ঋতুপরিবর্তন
পৃথিবীর, প্রকৃতির ছন্দের চেয়ে দৃঢ় আরও,
পুরানো কাগজের উপর ঘসেছে সে
সময়ের ইরেজার,
কাগজ কলমে বিচ্ছিন্ন করে সাদা হয়ে উঠলে
সাধ তার পূর্ণ… !
—- হায় ! তবু তবু… সব অসহ্য মনে হয়…
শুধু ঘরের অন্ধকার থেকে কেবল বিষধর,
কী সব বিচ্ছিন্ন অতীতের শব ঝরে পড়ে
ভূত নাচে আশেপাশে অভূতপূর্বের কোনও
এতটুকু সংবাদের প্রতীক্ষায়।
—-কিন্তু কী বা লেখা যায়—সেই নিষ্ঠুর হৃদয়কে
যার স্নিগ্ধ সুন্দরে একদিন এই পোড়া দিনের
ক্যানভাস রঙিন দৃপ্ত হয়ে উঠেছিল,
স্তব্ধ রুগ্ন বিধ্বস্ত কবিতার ঊষর মৃত্তিকায়
যে দিয়েছিল ফসলের অভিযানের ডাক—
হোক সে রুঢ়, হোক চির বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছেদ, বিভ্রান্তি
কিন্তু আবার, একবার, মাত্র একবার যদি…
—- কিন্তু কী লিখি আজ, ক্রোধ ? বিলাপ ?
অভিযোগ ?
আমি পার্থ, চির অধৈর্য, নষ্ট মনের ধষ্ট মানুষ।
কোনও সাকার প্রত্যাশা ?
না, নেই, ছিল না তো—
ছিল নিপাট, নিষ্কলুষ, অনন্ত এক ভালবাসার স্নান,
ধূসর ধোঁয়াশা জীবনে বেঁচে ওঠার গান।
অথচ এই যে অন্ধকার গুহায় এতো গুলো দিন,
পারমিতার আলো যেখানে পৌঁছালো না
এক পক্ষ কাল—
সেখানে যে এই অভিশপ্ত বিরতির গর্ভে শুধু
জন্মে গেল— কালো কালো গলিত ক্লেদ,
ব্যর্থ হতাশার ঘন মেঘ, যে কেবল গুমোট হয়ে থেকে গেল,
প্লীজ, পারমিতা তুমি, তুমিই পারো
ফুটিয়ে দিতে একটা স্বপ্ন-সকাল।
—- না, হতে পারে সে প্রশ্ন তারও
কতবার অভিযোগের কুয়াশা দুহাতে সরিয়ে সরিয়ে
যে আলো এনে দিয়েছিল,
এই সৃজন হারানো বন্ধ্যা-কালের আচ্ছাদন ছিঁড়ে
আমাকে কবিতা-নদীর ধারার কাছে
নিয়ে যাবে কে ?
বড় অসুখের যন্ত্রণার মতো এ ব্যথা মিতা—
অথচ বেদনা ও আরোগ্য— দুইই তুমি।
হয়তো সকল অছোঁয়া স্বপ্নের গভীরে শুধু কাঁটা,
হয়তো ভালবাসার দু’পারে দাঁড়ানো
দুই মানুষ— দোসরের হৃদয়েও কাঁটা—
বার বার খোঁচা লাগে, বার বার রক্ত-সংজ্ঞাত
কত যে নিঃশব্দ অন্তঃক্ষরণের গান
তবু হয় না ঠিক সুর তালে গাওয়া।
কিন্তু, মরণেও মেটে না—
এই চতুর্দশ দিন, চতুর্দশ বছর,মুখ
পৃথিবীর আহ্নিক গতির যেন ঘটে গেছে বহু হের ফের,
আকাশের রঙ বদলে, গাছ ও নদীর ভাষা বদলে
জীবনের দিনে যেন লেগেছে গ্রহণ…
—- হ্যাঁ, আজ আর অবশিষ্ট নেই— ক্রোধ, দ্বিধা
আজ ভীষণ দুর্বল, অসহায় সেই পার্থ
শোনো, দ্যাখো, ভঙ্গুর, টুকরো টুকরো এক পার্থকে,
একবার ফিরে দ্যাখো, পারমিতা…
উদগ্রীব, পার্থ নিস্তরঙ্গ নিস্তব্ধতা ভেঙে
মেসেজ লেখে আর মোছে কয়েক বার,
তারপর হঠাৎ আকস্মিক উত্তেজনায় স্নায়ু কাঁপে
পারে না, লেখা বন্ধ করে —
মুহূর্তে কন্ঠস্বরের তাড়নায় ফোনে রিং করতে শুরু করে
পারমিতার নম্বরে….
(এরপর পরবর্তী পর্বে)
(চতুর্থ পর্ব সমাপ্ত)
কবি ও কবিতার নদীর প্রতি র ইলো শুভেচ্ছা। এত সুন্দর পরিণত হাত, সে কি যায় ভোলা?