সংবেদন
অনুরাধা চৌধুরী
তোমাকেই প্রথম বলেছিলাম এক রজকিনীর গল্প ;
দুই দিকে পাখির মতো প্রসারিত বিদ্রোহের ডানা,
ছেঁড়া চিঠি, ছেঁড়া মালা, সব ছিঁড়ে একাকার,
তবু কিছু কাব্যের শিহরণ, অবেলার এই সঞ্চয়।
হোলির ওড়না টেনে মাংস ছেঁড়ে নপুংসক কাপুরুষ,
হেদুয়ায় আবক্ষ মূর্তি, কারা যেন ভেঙে, পালিয়ে গেছে,
বৃষ্টির জলে ভ’রে আছে সাঁতারু, শুকনো অমলতাস,
ফড়িং-এর পাখায় নাচে কাঁচের ছবি,জলরঙে আঁকা।
আবছায়া আঁধারিতে সে আসে, রাতের পোশাক পরে,
আমি পড়ে ফেলেছি অশোকের প্রস্তরলিপি,
রাতে থাকি সরাইখানায়, পথের দু’ধারে ছায়াতরু ;
মরা শিমুল গাছের বীজ ফেটে তুলো, উড়ছে হাওয়ায়।
কিছু ব্রাহ্মীশাক আমার চেতনা ফিরিয়ে দিতে চায়;
কিন্তু আমি ভুলে যাই বর্তমান, অতীতকে মনে রাখি,
ঘন অন্ধকারে ক্রমশ দল ভারী করে রাতের আকাশ
কালপুরুষের পোষা কুকুর, নিত্য আমায় ভালবাসে।।
বাহ্ খুব ভালো লাগলো ।
খুব ভালো লাগল।