নিটোল সন্ধ্যা
নিরঞ্জন রায়
নিটোল সন্ধ্যা
মুখোমুখি বসে দুটো পাখি জীবন নদীর ঘাটে
চাঁদকে মাঝখানে রেখে।
গল্প চলে
গল্পের ভেতরে উপগল্প আসে, গল্প রঙে রসে উর্বর হয়ে ওঠে।
কৈশোর এসে কথা বলে, শৈশবও ভাগ বসায়,
যৌবন সবকিছুকে ছাড়িয়ে হিমালয়ের চূড়ায়,
দূর পথ মুখোমুখি এসে ধরা দেয়
কচু, ভাট, ঢেকি, বুনো তুলসী বিশ্বস্ত স্বাক্ষী হয়ে যায়।
নদীজল বহমান
মূর্ত চখাচখির প্রথম আলিঙ্গনের চিত্রপট, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বিস্মৃত
স্নিগ্ধ পুকুর জলে ক্যামেরাবন্দি আলিঙ্গনাসিক্ত দুটো ছায়ামূর্তি।
আমাদেরও একটা সময় ছিল
সময় আসে প্রত্যেকের
চা পানের ফাঁকে আমরা পরস্পরকে তাকিয়ে দেখি
যতটুকু দেখি না বেশি করে দেখি তারচেয়ে মনের মুকুরে
অন্ধকারে, স্মৃতির এলবামে, কৃষ্ণসাগরে ।
চাঁদ ডুবে গেলে যতটুকু অন্ধকারে আমরা শূন্য হয়ে যাই
আমরা ততটুকুই
আলো অন্ধকার মিলেমিশে একাকার।
চর্যাপদ বলে এখানেই শুরু, আমরা শূন্য সিঁড়ির একধাপ পেরুতে না পেরুতেই আবার পড়ে যাই নিচে মায়াপুরে
আমাদের খেলা এভাবেই চলে জন্ম- জন্মান্তরে।