জতুগৃহ
রাজীব দে রায়
গাঢ় সন্ধ্যায় চেনা গাছবাড়িটার কাছে এসে দাঁড়ালাম।
দেখলাম, শ্যাওলা সিঁড়িটি কালো মেঘ পর্যন্ত তির্যকভাবে উঠেছে, ঊর্ধ্বে বিভৎস দাঁড়িয়ে ছাই-ভস্ম মাখা এক বনদেবী।
একদিন এখানে, নিগ্রোদের মাথার কোঁকড়ানো চুলের মত ঘন অরণ্য ছিল। বাতাসের যাতায়াতে গাছেরা সমস্বরে অস্ফুট ধ্বনি তুলত। অজস্র কিচিরমিচির শুনলেই যমুনা নদীতীরের সেই ছমছমে বনটির কথা মনে পড়ত, আমি ক্রমাগত কেঁপে উঠতাম।
এক রহস্যময় ভাবের ঘেরাটোপে ছিলাম দীর্ঘক্ষণ…
হঠাৎ, কালো মেঘের অতিকায় গর্জন শুনে সম্বিৎ ফিরে পেলাম। শুকনো পাতার উপর বৃষ্টিপাতের রিমঝিম শব্দ, আমার বুকের হাপরে ঝিঁ ঝিঁ ডাকের মত একটানা ঢেউ তুলে গেল। কান পেতে স্পষ্ট শুনলাম — নিরাশ্রয় বনদেবী যেন বলছেন ; …নে, এবার আমার হাতদুটো পুড়িয়ে দে !
Khub bhalo lekha
অশেষ ধন্যবাদ বন্ধু। প্রাপ্তি অনেক।
বীভৎস বনদেবী থেকে অসহায় বনদেবী পর্যন্ত প্রলম্বিত বিন্দুটি বস্তুত আবহমান।
অজস্র ধন্যবাদ ভাই❤️..,খুশি হ’লাম খুব।
অসাধারণ একটি কবিতা পড়লাম 💐
🙏🏻🙏🏻বড় প্রাপ্তি। প্রাণিত। অশেষ ধন্যবাদ 💐💐
ভালো লাগলো , সাহিত্য তোমার মননে।
😊প্রাপ্তি প্রিয় দাদা..শ্রদ্ধা অনেক 🙏🏻
অন্যরকম বোধের লেখা। খুব ভাল লাগল।
😊প্রাপ্তি অনেক.. ভাই
খুব সুন্দর লেখা
😊অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব ভাল লেখা।
😊অসংখ্য ধন্যবাদ..
খুব সুন্দর
😊অশেষ ধন্যবাদ।