দুর্বোধ্য চিৎকার
জিল্লুর রহমান প্রামানিক
পিতার রং করা বিবর্ণ হলুদ দেয়ালে
ডিম লাইটের নীল আলো হেলান দিয়ে
শুয়েছে কেবল!
বুকের উপর রক্তাক্ত লালসালুতে মোড়ানো
কইতরী উমের বিনয়ী বিক্ষত নেওটা বালাপোশ।
উন্নিদ্র মগজের নিউরনে পঙ্গপালের মতো
কতগুলো অসাধু স্বপ্ন এসে ভিড় করে।
সুশোভিত নোংরা-ছেঁড়া পর্দার সদ্য যৌবনি
ভাঁজ থেকে;লালসার জিহ্বা বের করে
অসভ্য মেধাবী অশিষ্ট টিকটিকি
কাকে যেনো তাড়া করে
নিয়ে গেলো দেরাজের আড়ালে!
দু’একবার দুর্বিষহ দুর্বোধ্য চিৎকার
অতঃপর জঘন্য দস্যুর গোটা দেয়ালে
অহংকারী বিচরণ!
কী অসহ্য!
আমার যন্ত্রণাকাতর নোনাঘামে ভেজা
অগোছালো মধ্যবিত্ত চাদর
আমি নিয়মিত লাশ হয়ে শুয়ে থাকি
আমার সুসজ্জিত নির্মল নিখুঁত
স্বপ্নগুলো ধর্ষিত হয় বারবার!