ঘরে যে একটাই গীতবিতান
ঝুমা মজুমদার চৌধুরী
তুই একই রকম রয়ে গেলি বরাবর
সেবার তোরই বন্ধু দিয়েছিলো
হাতে আঁকা রবীন্দ্রনাথ l
মনে আছে , কথা বলিস নি এক মাস l
শেষে কত টা পথ উজিয়ে গেলাম তোর কাছে
প্যাঁচার মতো মুখ করে বললি
” জ্বালাস না , দেখছিস না পড়ছি ” ঘরে বাইরে “
ফিরে এসে পড়ার ঘরে জানালার ধারে
ফুটে থাকা গন্ধরাজ কে
ভ্যাংচালাম খুব করে
চারা গাছ টা তুই দিয়েছিলি l
আমিও পড়েছি ” সাধারণ মেয়ে “
থাক তুই রেগে কাই
আমারও আছে গীতবিতান
বয়েই গেলো !
নাই বা দিলি তোর বুকে ঠাঁই l
তারপর কতদিন বাদে বললি কথা
হোস্টেলের বকুল তলায়
দিয়েছিলি সেদিন ” শেষের কবিতা “
এখনও তুই এমন
সরে যায় আঙুল যখন তখন l
এক চাদরে পড়েছি কত
কেন যে সে সব ভুলে যাস !
যাবো না আর ডাকবি যখন
” আয় দেখে যা ফুটেছে অমলতাস “
আজও তুই মুখ ফিরিয়ে
আমিও ডাকি নি l
বইয়ের তাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান
শেষে দেখি বসে আছিস কোলে নিয়ে !
আয় তবে করি কাড়াকাড়ি
ঘরে যে একটাই গীতবিতান l
আহা! বড়ো সুন্দর লেখা।
খুব সুন্দর লেখা