রাগ ভূপালি: একটি সান্ধ্যকালীন বারান্দা
দয়াময় পোদ্দার
সাড়ে চারটেয় তোমার আঁকা শেখানোর ইস্কুল ছুটি হয়।
তারপরে কিছু রাস্তা দ্রুত পায়ে চল- যেন কোথাও
তোমাকে ফিরতেই হবে! পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে।
ঘাম বিন্দুরা লেপ্টে দেয়- তোমার চোখের কাজল,
মুখের পাউডার, কপালের লালটিপ। বাড়ির কাছে
এসে চলার গতি শ্লথ হয়ে যায়- কোথায় ফিরবে?
সেইতো ঘর, ম্লান বারান্দা! থাকতো দুজন-
তুমি আর তোমার শূন্যতা!
এসময় ধোঁয়া ওঠা চা পেতে খুব ইচ্ছে করে,
দরোজা খুলে বা-পাশে সুইচবোর্ড, আলো জ্বালাবার পরে
পাখা চালাও, ঘরে গুমোট ঘুরপাক খায়।
হাত-মুখ ধুয়ে চা বসাও উনুনে, সুগার ফ্রি বিস্কুট
জানে চায়ের পেয়ালা হাতে তোমার উন্মুখ
চুপচাপ বসে থাকা। ভূপালির বন্দিশ বেজে ওঠে কোথাও;
তোমার কাছে আমি একজীবন ঋণী!