কবিতাঃ ভোর – ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না (কলকাতা)

ভোর
ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না

যতক্ষণ ঐ সৌন্দর্য চোখের ওপর থাকে ততক্ষণ বেঁচে থাকার অনুভূতিও থাকে।
বিষে নীল হওয়া প্রান্তরের অনেক কিছুকে অবান্তর মনে হয়।
আকাশ আর মাটি এত তপ্ত !
গুহার বাইরে আগুনে বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায় সমূহ প্রত্নজ্ঞান।
ধীরে ধীরে দগ্ধ হচ্ছে নতুন সভ্যতার
অহংকারী জনপদগুলি তবু
একটি সফেদ ফুল স্বপ্নে আসে, হাওয়ায় দোলে আর স্নিগ্ধ স্পর্শের দূরতম স্মৃতির একমাত্র জানালাটি মূর্ত হয়।
এবার ফসলের মাঠে হারিয়ে এসেছি মেঘ রং ওড়নাটি
জঙ্গলে রেখে এসেছি সমস্ত অলৌকিক অনুভূতি।
সবাই শান্তির কথা বলতে বলতে পথ হারানোর পর এই গুহা আর আগুনের কাহিনিটি একা একা বেড়ে উঠছে।
অসংখ্য হাত পা, অগণিত মাথা,আর অন্ধকারময় অন্তহীন এক জঠর

এসবকে অগ্রাহ্য করে ফুটে উঠছে নবীন এক ভোর
দূর থেকে ভেসে আসছে আহীর ভৈরবের মৃত্যহীন তান।

4 thoughts on “কবিতাঃ ভোর – ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না (কলকাতা)

  1. আহীর ভৈরবের তানের মতই খুব সতেজ টানটান পদ্য।

    1. ধন্যবাদ অলকাদি
      নববর্ষের শুভেচ্ছা।

  2. আছে আশার আলো। খুব ভালো লাগলো ইন্দ্রাণীদি

  3. খুব ভালো লাগলো কবিতা টি । মন ছুঁয়ে গেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *