কবিতাঃ প্রজন্ম, অন্তর্বাষ্প – তথাগত ব্যানার্জী (রাশিয়া)

প্রজন্ম

অনেকগুলো ভুলে ভরা প্রজন্মের পরেই বোধহয়-
তুলনামূলকভাবে সঠিক এক প্রজন্ম আসে।
তোমার প্রজন্মই তেমন সঠিক- তা তুমি মানো।
অন্যে মানে কি?
যতটা উদার, কুসংস্কারমুক্ত হতে পেরেছো এ জন্মে,
প্রায় ততোটা পর্যন্তই অন্যের নাগাল, অন্যের উন্নতি-
মনে মনে মেনে নিতে পারো।
তার থেকে কেউ খুব কম হলে বলো, “সেকেলে”,
আর খুব বেশি হলে বলো, “অসামাজিক”।
যতটা পারো, অন্যে ততটা পারলে ঠিক,
কম পারলে করো অবজ্ঞা, বেশি পারলে ঈর্ষা।

যে প্রখ্যাত শিল্পী জীবনে অনেক ছবি এঁকেছেন,
তবু একটাও নগ্নদৃশ্য এঁকে উঠতে পারেননি,
তাঁর ছেলেই আজ কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কবিতা লিখে বিখ্যাত।
এক জীবনের না-পারাগুলো অন্য জীবনের জন্য বার্তাবাহী পারাবত।

অন্তর্বাষ্প

এ যেন বনসাই করে রাখার চেষ্টা অনপেক্ষ বৃক্ষকে,
বাগ্বিস্তারের অজুহাতে সম্ভাবনার পা ধরে টানে।
জানো,- আস্থাভাজন দরদির হা-হুতাশের সাক্ষী রাখতে নেই!
লোকে ভাবে বুঝি মরমিয়া, শুনি অন্যের কথাই।
একটু কাঁদতে পারলেও হালকা হওয়া যেত, কিন্তু,-হায়!
অশ্রুর দেমাক ভারি, আসতেই চায় না!
অতিপন্ন অভিসন্তাপে এই হয়।
উপচিত স্বাভিভাব, মন্দীভূত বিদার্যতা,
প্রতিবিষের উৎস্রোত, আমান্নেও খুশি।
শরিকানায় যে বিষাদ কমে,- এতে আমি চিরসন্দিহান!
তেমন সুহৃদবর কই!
বেশিটাই থাকে উদাসীনতা, আর কিছু ক্ষণস্থায়ী বিরক্তি….

2 thoughts on “কবিতাঃ প্রজন্ম, অন্তর্বাষ্প – তথাগত ব্যানার্জী (রাশিয়া)

Leave a Reply to ভূমিকা গোস্বামী। Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *