বন্দী
শুভ্রকান্তি মজুমদার
অনেক দিন থেকেই বন্দিশালার মত একটা জাল,আমার চারপাশে! আমি কোথাও এসে যেন আটকে গেছি। চারপাশে একটা অদ্ভুত শূন্যতা,মনে হয় যেন শূণ্যে ভেসে আছি। হাত পা ছুঁড়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি ক্রমাগত, কিছুতেই পারছিনা। কিছু একটা জিজ্ঞাসা, কিছু একটা আশ্চর্য প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসার জালের মাঝে জড়িয়ে আছি।
এই যে রবিঠাকুর এত গান লিখলেন, তার সুর নিজে করলেও, স্বরলিপি তৈরি করালেন আপন বিশ্বস্তজন
দের দিয়ে। নিজে করলেন না কেন? আর মাত্র একটি গান ” এ কি সত্য সকলই সত্য” এই একটি মাত্র গানের স্বরলিপি বা নিজে করতে গেলেন কেন? এই ধরনের প্রশ্ন আমাকে কুরে কুরে খায়।
জার্মান কবি হোল্ডারলিন, হঠাৎ তাঁর একটা পুরোনো কবিতা পড়ে এত অবাক হয়ে গেছিলেন যে, রাত জেগে ট্রেনে পাঁচশ মাইল উজিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে এসে কবিতাটা দেখিয়ে বলেছিলেন, ” দ্যাখো কি আশ্চর্য এখানে একটা সেমিকোলন দিয়েছি।”
কেন? কেন? কেন? এরকম ওঁরা করেন কেন? এসবের উত্তর খুঁজে না পেলে আমার মুক্তি নেই!আমাকে হয়ত আজীবন বন্দি থাকতে হবে।
অপূর্ব। অপূর্ব। অপূর্ব।
খুব ভালো লাগলো
খুব ভালো লাগলো
সত্যিই। এমন অনেক প্রশ্ন আছে।
অপূর্ব লাগলো।