বিভাজিকা
প্রণয়-তাড়িত ছেদ আড়াআড়ি শুয়ে আছে
শাপগ্রস্ত নদীটির মতো
সময়ের জল, নাব্যতা,ধিকিধিকি জ্বলা গৃহ-অভিমুখ
বিভাজিকা বয়ে আনে
পাপবোধ যেন শান্ত আলাপ
নয়নপথ গেছে বেঁকে
তক্ষকের দেহ থেকে গুপ্ত ছায়ায়
অনবধান মৃদু হাসি দেখেছিল যে মৃত্যুতে
সেইসব চ্যুতি পড়ে আছে দেবতার পায়ের কাছে
অর্থহীন পাগল যেমন কখনো জাগে গোলাপে
স্বরের প্রলাপে বিভ্রম ফিরে পেতে
তেমন বিক্ষেপ প্রয়োজন ছিল
মদের আধিভৌতিক দেহ কড়া নাড়ে
ক্লান্ত বিড়ালের মতো দুপুরের মাছের নিকটে
তোমার উদ্ভব নিয়ে কথা হয় তখন
নদীর চোখে বালি পড়ে আছে অস্পষ্ট নিদাঘে
ত্রিপর্ণ
অস্ত্রের বশ্যতা জেনেছ
নদীর দেহে ব্যাধের নিষ্কাম হাত
যেন ফেরেশতার অবধ্য আলো
তৈজস, তেল ও বিল্বপত্র ছুঁয়ে
তোমাকে হারালো অন্নের থেকে দূরে
কূট লবণ, পরিহার বিধিসম্মত জলে
নিরাময় ফেলে আসে
চান্দ্রমাস ধীরে নিষিক্ত হয় যে ঊর্ধ্বগামী শিখায়
তার আদি-অন্ত ঘিরে তোমার শ্বাস
নিকটে এসেছে স্বয়ংক্রিয় রোদ্দুরে
সমুদ্রের দেবী উঠে এল
ক্যানারির খাঁচা দুলছিল অন্ধ হাওয়ায়
রাত্রি ও পরিতাপ ক্রমে উষ্ণ
শেকড়েরও নিচে ঘূণ, পাতার প্রচ্ছায়া ডুবে যায়
স্তবকের অন্ধকারে ঘুরে ঘুরে