শ্রেয়তমা , তোমাকে অনুভব করে – গৌতম নাথ (বোধিসত্ত্ব)
তোমার নিঃশব্দ সমর্পণের গঙ্গাপ্রবাহে আমি হয়ে উঠি পুনঃসঞ্চারী সর্বানন্দ সঙ্গীতের আকাশছোঁয়া মহড়া ।
নীরজ নীল প্রশান্তি ——
এ শুধু তোমার স্পর্শেই প্রস্ফুটিত শ্বেতপদ্ম আত্মসুখ।
শ্রেয়তমার পথের পাঁচালী যেন অনন্ত নীলাদ্রির সর্বমঙ্গল চৌকাঠ জুড়ে ময়ূরাক্ষী ঢেউ তোলে।
মেঘ হতে মেঘনা পর্যন্ত বুকের গভীরে আশ্রয় নেয় উপন্যাসের চরম পর্বের আলপনা হয়ে।
তোমার হরিতকি স্পর্শে অন্তর জুড়ে বিগত কৈশোরের কৃষ্ণচূড়া চরাচর ডানা মেলে সুমহান সমুদ্র হয়ে উঠে।
সাগরে লীন হওয়া ডুবন্ত সূর্যের নাভিমূলে তুমি সেই পঁচাশি প্রান্তর জোছনা পথ যার বাঁকে বাঁকে আমার উত্তরীয় নদীজন্ম।
বাঁশরী ঝরনার এপারে-ওপারে নীহারিকা সুখের স্ফটিক রাজপথ আলেয়ায় আলোকিত।
দীপায়ন পথিকের পদচিহ্ন অন্তরাত্মা ছুঁয়ে গেলেই জীবন হয়ে যায় নদীমাতৃক সরলতার সমীকরণ।
অন্তরে-বাহিরে আজ প্রস্ফূটিত হয়ে আছে সদানন্দ ব্রহ্মের সেই প্রদীপশিখা , যার অতল পরিধি জুড়ে ছায়াহীন বাসর অক্ষয় অনিলের বীজমন্ত্রে দীক্ষিত।
ভাল লাগল।