ত্রিবেণী – অনিরুদ্ধ সুব্রত
ভালবাসা,
বাতাসের স্নান ঘরে অবয়ব দেখো ডালপালা, ছুঁয়ে রাখো সংগোপন
পরতে পরতে প্রেম তোমাকে নিয়ে যাবে হাত ধরে বিকেল বেলায়
দেখো নগ্নতার সংকীর্ত্তন উৎসবে পথে পথে নেমে পড়েছে আকাশ
ঝরা দুঃখের আরও বেশি অবকাশ,দেখো আরও আলো পাদদেশ
চলো দিগন্ত থেকে চেয়ে নেওয়া যাক আজ— সব কষ্টজাত পলাশ।
শীত-বসন্ত,
আমলকি গাছের নগ্ন হওয়ার সময়
একটা পাখি আনমনা এসে পড়েছে
খোলামেলা ডালের গায় পোকার গর্ত
মন তার রোদ্দুরের অসংযমী দৃষ্টিতে।
বসন্ত নতুন পোশাকে আনন্দে নিয়ে যাবে
বৃষ্টির আকাশ থেকে কিনে দেবে মুকুল
ঝিরঝির বাতাসের কাছে লেখা আছে সব,
ঘরের কথা মনে পড়তে অতিথি পাখির
আনমনা মন দেখাদেখি ভুলে ফিরে যাবে।
ছায়া-পথ,
ছায়া ছাড়া পথ কই, রোদ্দুর প্রিন্ট আঁচলে পা দিয়ে দিয়ে হাঁটা শেখা
আকাশ ভাঙে না কেন মাথায়— জানোতো দু’বাহু তুলে বৈরাগী রেখা
গুল্ম লতা ঘাস প্রজাপতি শুঁয়োপোকা,শোনো যে ডেকে বলে কথা
ঘরে যাওয়া,ঘর থেকে নদী-ঘাটে বা ওপার মাঠে শামিয়ানা পাতা
জীবনের মরণের গল্পের কবিতার সংগীত ভাষণের
ছায়া পথ ধরে ধরে
বৃষ্টিতে সৃষ্টিতে শীতের আঙুল ছেড়ে বসন্ত সহবাসে
এই প্রাচীন চরাচরে।
দুটো লেখাই, ভালো লাগল
খুব ভালো লাগলো।