শিরোনাম হীন ৩
এমনই তো রোজ রোজ সূর্য ডুবে যায়; রাত এমন করেই তো রোজ ধীরে ধীরে অন্ধকার গাঢ় হতে থাকে। রাত্রি তো এমন করে মোহময়ী, মায়াবিনী হয়। তাহলে এ কোন রাত্রি নেমে এলো বলো? আমি কি চিনি এ রাত? দেখেছি কখনো? নাকি মরফিনের নেশা আজ একটু কড়া হয়ে গেছে। বিশ্বাস করুন আজকাল আর নেশা করে আছি বলে মনেই হয় না। কিন্তু এ কোন রাত্রি? একটা কুকুরও নেই কেন আশেপাশে? একটা বিড়াল, ইঁদুর – যে আমাকে দেখলে সর সর সরসর করে মিশে যেতো গাঢ় অন্ধকারে। এ কোন অন্ধকার? মৃত্যুর মতোই আতঙ্কের রূপ বড় ভয়ঙ্কর। সমস্ত নেশাকে ছুটি দিয়ে দিতে পারে, এমন আতঙ্ক। চারপাশ ধূ ধূ শুনশান বাতিস্তম্ভের হলদে এলইডি আলো, আর সেই মায়াবী অন্ধকারের গহনে আমি ক্রমশ তলিয়ে চলেছি।
এ যেন এক মোহিনীর মায়াবী আঁচল
মৃত্যুকে সামনে জেনে সকলে ডরায়
আতঙ্ক মৃত্যুর রূপে তারায় তারায়
দিক ভ্রষ্টের মতো আমাকে নিয়ে যায়
কোথা কে জানে তার আঙুল ইশারায়
মরফিনের ঘোরে দেখি আঁধার কাজল
চোখে দেখেনি কেউ। বোধহয় লাস্যময়ীর মায়াবী আঙুল ইশারা, শীতল মৃত্যুকে ডাকে আরও কাছে আয় – যেন এক অসম্ভব মায়াবিনী যার কমলা-লেবুর কোয়ার মতো বিষাক্ত নীল ঠোঁট। যাকে আমি কখনো কোনোদিন তোয়াক্কাই করিনি বরঞ্চ লাস্যময়ী ভাবতেই ভালবেসেছি। কিন্তু কেন চারিদিক খাঁ খাঁ জন মানুষহীন। একটা আতঙ্ক। গড়িয়ে পড়া বিষাক্ত তরল। মানুষের তিলে তিলে গড়ে তোলা ইট, পাথরের ইমারতের পৃথিবীকে গ্রাস করে ফেলার আতঙ্ক। সবুজ কিংবা কালো অথবা নীল আতঙ্ক। তার অন্য এক নীল লাস্যময়ীর রূপ যেন গহন অন্ধকার থেকে নেমে আসা কোন মৃত্যুর শরীর।
নেহাৎ এসব ফালতু ওই কথার কথা
বাঁচার তাগিদ বোঝে আতঙ্কের ভাষা
শীতল কণ্ঠের স্বর ডাকবে, কাছে আয়
যেখানে স্বপ্নের ছবি কাছাকাছি প্রায়
যে চুম্বন অনন্তকালের ইন্দুমতী
শত বর্ষ তার জন্য বসে থাকতে পারি
ভালো লাগলো
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন।