কবিতাঃ অগাধ ভোরের আলোপথ – গৌতম নাথ ( বোধিসত্ত্ব )

অগাধ ভোরের আলোপথ
 গৌতম নাথ(বোধিসত্ত্ব)

আমার নীরবতা ভেঙে ভেঙে
ব্রহ্মপুত্রের বালিয়াড়ি বেয়ে
তোমার সূর্যমুখী পথচলা।

জানি এ পরিভ্রমণের
আপাদমস্তক‌ই সদরে সমর্পিত
জলরাশি।

বুকের সরলরেখায় যখন তুমি
ভিতরের রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের
পরিমাপ করে নাও তখন
পুরোটা প্রান্তর‌ই হয়ে যায় অন্তরের আলিঙ্গন।

নির্বাধ নদী যতটা সমুদ্রগামী
ততটাই অন্তর্যামী।

যে সোপান বেয়ে তুমি অমৃতের
চৌকাঠে অঞ্জলি সাজাও ,
সে সোপান অনন্তযাত্রার
আলোতেই আলোকিত।

বুকের পরিসীমায় সূর্যডুবির
পূর্বাভাস পেলে তুমি হয়ে উঠো
অসীমের ডাকঘর।

সজল এই দূরত্বটা যে কতটা
হরিয়ালি সান্নিধ্য , প্রাচীন
শ্লোকেই তার উত্তর মিশে আছে।

অন্তরে-বাহিরে-রোদ-যামিনীতে
জড়িয়ে থাকা বুকটাই তো
তিলে তিলে গঙ্গা হয়ে যায়।

মৃন্ময় আবির্ভাব মহাভাবের
মহাভারত স্পর্শ করে আমাদের
কুটুম্বিতা হয়ে গেছে ত্রিকাল
ছোঁয়া ভাস্কর্য।

ত্রিবেণী সঙ্গমের নভোমন্ডলে
এসে আজ হারাবার কিছু নেই ,
যেটুকু কাছাকাছি আসা
সেটুকুই পরমের প্রসাদ।

তোমার মহানন্দা তিলোত্তমা
প্রান্তরকে ফলন্ত করে দিলে
আমার গোদাবরীও সমুদ্রে যায়।

আমি যেটুকু আমার কাছে বন্দি
তারচেয়ে শতগুন তোমার কাছে
মুক্ত —– তারচেয়ে শতগুণ
নভোচারী বিহঙ্গ।

এ ঘর , এ দখলদারি , এ মেয়াদ
— সবকিছুই আজ অগাধ
ভোরের যাত্রা হয়ে গেছে।

9 thoughts on “কবিতাঃ অগাধ ভোরের আলোপথ – গৌতম নাথ ( বোধিসত্ত্ব )

    1. আমিও এই পত্রিকায় লিখতে চাই।

  1. অসাধারণ, কিছু লাইন মনের মধ্যে গেঁথে গেল।
    ” তোমার মহানন্দা তিলোত্তমা প্রান্তরকে ফলন্ত করে দিলে আমার গোদাবরীও সমুদ্র হয়ে যায়।”

  2. ‘নির্বাধ নদী যতটা সমুদ্রগামী, ততটাই অন্তর্যামী’
    অপূর্ব!!

  3. গভীর মননশীল কবিতা ।খুব ভাল লাগল।

  4. একটি ভালো লাগার কবিতা, অন্তর্যামী আর সমুদ্রগামী সবুজের জন্য দুটোই বড় প্রয়োজনীয়‌।

  5. কিভাবে লেখা পাঠাবো?
    Mail id অথবা WhatsApp no. দিন।

Leave a Reply to Soma Sengupta Mukherjee Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *