বিন্ধ্যবাসিনী মন্দির
গোবিন্দ মোদক
বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের চাতালে
মাঝরাতে জন-পাঁচেক মাঝবয়সী
অ্যালকোহলিক কিছু কথাবার্তা ছড়ায়
স্খলিত জুতো, অসংলগ্ন পদক্ষেপ …
ওদের খেউড়ে ভর করে ভোর আসলে
জন-পাঁচেক পূজারী ফুল তুলে আনে
ফুলের আলোয় সকাল ফুটলে
জন-কয়েক দেবদাসী, ঘন্টাধ্বনি,
মন্দিরের চূড়ায় প্রথম সূর্যালোক
আর সমূহ ভক্তদের লাইন …
দুপুরের চাতালে সাদা শাড়ির
জন-কয়েক বৃদ্ধা, লুঙি-ফতুয়ার কিছু বৃদ্ধ
আলগোছে সুখ-দুঃখের গল্প করে
ধীর পদক্ষেপে ওদের চলে যাওয়ার অবকাশে
গোধূলির রূপটান
আরতি-সন্ধ্যা জ্বলজ্বল করে
ধূপ, প্রদীপ, মোমবাতি … ফের ঘন্টাধ্বনি
রাত হলেই আবার যে কে সেই
মাঝরাতে জন-পাঁচেক মাঝবয়সী
আর অ্যালকোহলিক কিছু কথাবার্তা …
বিন্ধ্যবাসিনী এ সব কিছুর মাঝেই আছেন
আমাদের ঠাকুর হয়ে।