কবিতাঃ লটারি – জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

পুণ্যার্থীর পোশাক লাগিয়ে লটারির টিকিট কাটলে কী হয়
আমি জানি না।ভক্তিতে বা ভক্তি ভাবে কতটা পুণ্য আসে
জানা নেই।অথবা ভক্তের পোশাকে অলৌকিক শক্তিমান দেবতার
কতটা সুনজরে পড়া যায় তারও কোনো ইতিহাস বা ভূগোল আমি জানি না।
এজন্য আপনারা আমাকে দুর্বল বা পিছিয়ে পড়া ভাবতেই পারেন।
কেউ বাধা দেবে না আর বাধা দিলেও আপনারা শুনবেন না।
কথা হোলো কতটা কৃচ্ছসাধনের কী ফল বা কতটা দূরত্ব
অতিক্রম করে জল এনে কী পরিমাণ দেবতার মহা অঙ্গে
ঢাললে কেমন ফল পাওয়া যায় তা জানার কৌতূহল কমছে না।
তাই এ বিষয়ে একটি নির্ভুল পর্যায় সারণি যদি কোনো পুণ্যাত্মা
করে দিতে পারেন অবশ্যই তাঁকে গুরু বলা যাবে।তবে সেখানে
লটারির টিকিট আর পুরস্কার সম্পর্কে কয়েকটি লাইন থাকতেই হবে
ডিয়ার নিয়ে পাঁচ-ইয়ারি কথায় জোর দিলে ভালো হয়।

পাদটীকা : ভক্তিরসের প্রাবল্য দেখে জলসংকটের কথা উল্লেখ
করা হয়নি আর প্রবল খরায় দাবানল চাওয়ার সাহস কারই বা আছে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *