অমলের আলো
সোমা মুখার্জী
রান্নাবাটি খেলতে খেলতে
কখন যে একুশটা বসন্ত
পার করে ফেলেছে……
সেদিনও বুঝতে পারেনি রাণী–
আজও সংসারের সারকথা
সেভাবে বুঝতে পারলেও
রোজনামচার রঙ বদল হয় বৈ কি……
ডাকনাম রাণী হলেও
বাবার আদরের রাণীই বটে,
সংসারের ভারক্লিষ্ট রাণী আজ পঞ্চাশোর্ধ
ঘরকন্নার কাজেকর্মে পটু সে
কখনোই ছিলো না তবু
সংসারী রাণীর একটু আধটু
কলম চালানোর শখ ছিলো
সেই স্কুলবেলার দিন থেকেই…..
সেসব লেখা তার স্কুলবেলার
পত্রিকায় সমাদৃত
বহু যত্নে সেসব পত্রিকা সমাদরে
গচ্ছিত তার সংগ্রহে
কখনও সেভাবে পোক্ত হয়নি বটে
তবু ঐ যে মনের টান-
সেখান থেকে বেরিয়েও আসতে পারে নি সে
মনের অলি-গলিতে খোঁজ মেলে
বিনিসুতোয় বাঁধা আছে সেসব ……
কিছু টুকরো স্মৃতি আর
দারুণ কারুকাজের কিছু স্বপ্ন
কখনও স্বপ্নগুলো বিনিসুতোর
বাঁধন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চায়
ভাবে ছুটে যাই যে যার মতন করে
কখনও আলোর গতিতে পথ হারায়
কখনও স্বপ্নের ব্যর্থ প্রকরণ
হারিয়ে যায় নিরুদ্দেশের ঘরে
হলুদ দেওয়াল ছুঁয়ে যেন
এক শান্ত প্রজাপতি…….
ডানা ঝাপটাতে চায়
তবু দেখে পাখা মুড়ে বসে আছে ,
থেমে আছে–
এই জীবনে মমতার নিমগ্ন বিশ্বাসে স্নায়ুযাপন করছিলো সে….
অনেক কথার স্রোত অনভ্যস্ত
স্বরযন্ত্রের কাছে এসে বেরিয়ে
আসতে চেয়ে ঠেলাঠেলি করেছে
চোখ জ্বলে উঠেছে
তীব্র আত্মবিশ্বাসের অনুসন্ধানে
শেষ করতে চেয়েছে
অসমাপ্ত গল্পটা
টুপটুপ করে জল ঝরাচ্ছে যেন মন
কথা নেই , দুঃখ বা আনন্দ নেই
সব কথার মাঝে একটা কথাই
বুকের গভীরে ঠাঁই পায়
এ এক মানুষ জন্ম….
অনিবার্য চিত্ররূপময়………….।।